৬০ রান করলেন মায়াঙ্ক।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে লড়াই করলেও বারংবার হতাশাকে সঙ্গী করেই দেশে ফিরেছে ভারতীয় দল। বরাবরের জন্যেই ভারতীয় দলের কাছে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পেস সহায়ক পিচে দীর্ঘদেহী প্রোটীয় পেসারদের সামনে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের বিপর্যয় দেখে অভ্যস্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে এবারে প্রথম দিনে কিছুটা অন্য ঘটনা দেখা গেল। প্রথম দিনে দাপটে ব্যাট করলেন ভারতীয়রা। দিনের শেষে রাহুল ১২২ ও রাহানে ৪০ রানের ওপর ভর করে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান তুলেছে ভারত।
বক্সিং ডে টেস্টে টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। মধ্যাহ্নভোজনের আগে বিনা উইকেটে ৮৩ রান তুলে ফেলেন রাহুলরা। ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় জীবনদান পেয়েছিলেন মায়াঙ্ক। ১৮তম ওভারে মার্কো জেনসনের বলটি ভারতীয় ওপেনারের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে পিছনে গেলেও রুটিন ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন প্রোটীয় উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। তবে অর্ধশতরানের পর মনঃসংযোগে চ্যুতি ঘটেছিল। যে কারণে এনগিডির ভেতরে ঢুকে আসা বলে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হলেন। নয়টি চার দিয়ে ১২৩ বলে ৬০ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন মায়াঙ্ক।অনভিজ্ঞ প্রোটীয় পেস আক্রমণের বিরুদ্ধেও রান পেলেন না পূজারা। মায়াঙ্ক আউট হওয়ার পরের বলেই ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন পূজারা। একই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন এনজিডিদের। এরপর অধিনায়ক বিরাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে কিছুটা বড় রানের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। তবে ৬৮.২ ওভারে এনজিডির বলে স্লিপে মুল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরন। ৯৪ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক। অধিনায়ক কোহলি আউট হওয়ার পর রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে রানের গতি বজায় রেখেছিলেন সদ্য সহ-অধিনায়কত্ব হারানো রাহানে।