• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

কেকেআরের ব্যর্থতার সাতকাহন

আইপিএলে টানা পাঁচটা ম্যাচে হার। জাদু না ঘটলে প্লে-অফে কেকেআরকে দেখার সম্ভাবনা কম। ৯টি ম্যাচে হার ৬টি খেলায়জয় মাত্র ৩টি ম্যাচে। তা-ও তিনটি জয়ের মধ্যে একটায় জয় এসেছে প্যাট কামিন্সের একক ব্যাটিং দক্ষতায়। কিন্তু কেন এমন ভরাডুবি? কেকেআরের ব্যর্থতার সাত কারণ নিয়ে বিশ্লেষণ অলিভিয়া ডায়াসের

বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ফিরতি পর্বের ম্যাচেও হারের পরে এ বারের আইপিএলে টানা পাঁচটা ম্যাচ হেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিদায় প্রায় নিশ্চিত। অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে প্লে-অফে কেকেআরকে দেখার সম্ভাবনা কম।। নিলামে শ্রেয়স আইয়ার, প্যাট কামিন্সদের নিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল কেকেআর। গত তিনবারের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিককে অধিনায়কত্বের পাশাপাশি দল থেকে সরিয়ে শাহরুখের দল এ বারও কেকেহার হওয়ার পথে হাঁটছে। চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত কেকেআর ৯টি ম্যাচ খেলেছে। তার মধ্যে হার ৬টি-তে, সেখানে জয় মাত্র ৩টি-তে। তিনটি জয়ের মধ্যে একটায় জয় এসেছে ব্যাটার প্যাট কামিন্সের একক দক্ষতায়। কিন্তু কেন এমন ভরাডুবি?

১) একার হাতে জেতানোর ক্রিকেটারের অভাব

রাজস্থান রয়্যালসের যেমন জস বাটলার, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উমরান মালিক, লখনউ সুপার জায়ান্টসে লোকেশ রাহুল, কিংবা গুজরাত টাইটান্সের হার্দিক পান্ডিয়া বা রশিদ খান। প্রতিবারের মত এবারের আইপিএলেও বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে এমন কিছু ক্রিকেটার উঠে এলেন, যারা ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলে একার হাতে দলকে জেতাচ্ছেন। কেকেআরে এমন কোনও ক্রিকেটারই নেই।

২) অধিনায়ক হিসেবে পরিণত নন শ্রেয়স

কখনও ভুল দল নির্বাচন, তো কখনও ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলারদের কাজে লাগাতে না পারা বা ভুল ফিল্ডিং সাজানো। শ্রেয়স আয়ারের অধিনায়কত্বে অনভিজ্ঞতা স্পষ্ট। ঠান্ডা মাথায় ভাল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না শ্রেয়স। ফলে ক্লোজ ম্যাচে দল হারছে।

৩) ভরসা দিতে ব্যর্থ শ্রেয়স, রাসেলরা

এ বার নিলামের পরে কেকেআর আশাবাদী ছিল মূলত তিন জনকে নিয়ে। তাঁরা হলেন, শ্রেয়স আয়ার, আন্দ্রে রাসেল ও প্যাট কামিন্স। শ্রেয়স একার হাতে জেতানোর মত এখনও পর্যন্ত কিছু করতে পারেননি। রাসেল দু একটা ম্যাচ ছাড়া নজর কাড়তে পারেননি। কামিন্স একটা ম্যাচে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেও জেতালেও তার পরে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ।

৪) নারাইনরা অতীতের ছায়া

এর আগের আইপিএলে শাহরুখের দলের সাফল্যের মূল স্তম্ভ ছিলেন কেকেআর-এর দুই ক্যারিবিয়ান তারকার। ব্যাটে-বলে নারাইন-রাসেলরা যে কেকেআর-কে কত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিতিয়েছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু ব্যাটে হাতে এবার সুপারফ্লপ নারাইন। বল হাতেও তেমন বলার মত নয়। রাসেল ব্যাট হাতে ধারাবাহিক হননি, ম্যাচ একার হাতে বের করতে পারেননি। সব মিলিয়ে রাসেল-নারাইনরা অতীতের ছায়া হয়েই থেকে যান।

 

 

৫) ভেঙ্কটেশ, বরুণদের ব্যর্থতা

গতবার কেকেআর ফাইনালে উঠেছিল। তার পিছনে তরুণ ওপেনার-অলরাউন্ডার ভেঙ্কটেশ আয়ারের বড় ভূমিকা ছিল। অবিশ্বাস্য সব ইনিংস খেলেছিলেন ভেঙ্কটেশ, বল হাতেও চমকে দিচ্ছিলেন। কেকেআর-এর হয়ে অবিশ্বাস্য খেলে ভেঙ্কটেশ ভারতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছিলেন, সেখানে এবার এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি ফ্লপ তিনি। নিলামে না তুলে রিটেন করা স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর হালও শোচনীয়।

৬) দলগত সংহতির অভাব

এ বার কোনও ম্যাচেই দল হিসেবে ঝাঁপাতে পারেনি কেকেআর। কখনও ব্যাটিং ভাল হচ্ছে তো বোলিং ডোবাচ্ছে, তো কখনও বোলিং ভাল হচ্ছে তো ডোবাচ্ছে ব্যাটিং। দলগত এই সংহতির অভাবেই ভরাডুবি।

৭) নিলামে ভারসাম্যযুক্ত দল গড়তে না পারা

দলের কেউ ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। কেকেআর নিলামের আগে রিটেন করেছিল- রাসেল, নারাই, বরুণ ও ভেঙ্কটেশকে। প্রথম দুজন ফ্লপ করেছেন, আর পরের দুজন সুপার ফ্লপ। পাশাপাশি আজিঙ্কা রাহানে, অ্যারন ফিঞ্চকে নিয়েও লাভ হয়নি। আবার দীনেশ কার্তিক, কুলদীপ যাদব, শুভমন গিলকে ছাড়া কিংবা নিলামে না কেনাটা ভুল হয়েছে। কুলদীপের জায়গায় বরুণকে রেখে দেওয়াটা বেশ পস্তাতে হল। কার্তিকের জায়গায় শেল্ডন জ্যাকসন বা বাবা ইন্দ্রজিতদের মত অনভিজ্ঞদের নিলামে কিনে বাজিমাত করার কৌশলটাও কাজে দেয়নি।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top