নাইটদের ভাবাচ্ছে প্রাক্তন নাইটদের উপস্থিতি
স্পোর্টিওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক
২০০৮-এর ১৬ মে। ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হওয়ার আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে ‘পেপ-টক’ দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। আর্জি জানিয়েছিলেন সেই ম্যাচ জিতে দেখানোর। কিন্তু ২২ গজের লড়াইয়ে মাত্র ৬৭ রানে মুড়িয়ে গিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাইটরা। তারপরে গঙ্গা আর আরব সাগর দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে। মহারাজ, ম্যাকালাম, গম্ভীর, কার্তিক, মর্গ্যান – নাইটদের হয়ে টস করতে নেমেছেন বিভিন্নজন। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্স রয়ে গিয়েছে নাইটদের নেমেসিস হয়েই। পরিসংখ্যান বলছে, নাইটদের মুখোমুখি হয়ে ৭৫ শতাংশেরও বেশি ম্যাচ জিতেছে মুম্বই। আর তার অধিকাংশই একপেশেভাবে।
বুধবারও মুম্বইয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে সেই পরিসংখ্যানই ভাবাচ্ছে নাইট শিবিরকে। যদিও সাম্প্রতগিক ফর্মের বিচারে এগিয়ে রয়েছে কেকেআর। তিন ম্যাচ খেলে জয় দু’টিতে। অন্য ম্যাচে রীতিমতো লড়াই করে হার। মুম্বই সেখানে একেবারেই উল্টো মেরুতে। দু’টি ম্যাচের দু’টিতেই হার। আর তাও একেবারে দিশাহীনভাবে।
তবে তাই বলে রোহিত শর্মার দলকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। আইপিএলের আসরে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা বরাবরই শ্রুতে হোঁচট খায়। প্রতিযোগিতা যত গড়ায় তত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে মুম্বই। তাই প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য আলাদা করে ছক কষছে নাইট শিবির। মুম্বইয়ের হয়ে যিনি গত চার ম্যাচ অর্ধশতরান হাঁকিয়েছেন সেই ঈশান কিষাণের কথাই ধরা যাক। প্যাট কামিন্স তাঁকে মোট পাঁচ বল করেছেন। আউট করেছেন তিনবার। রোহিতের উইকেট মোট সাতবার গিয়েছে সুনীল নারাইনের ঝুলিতে। বুধবারের ম্যাচেও তাঁদেরই তুরুপের তাস হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে ম্যাকালামদের। সেক্ষেত্রে কামিন্সকে জায়গা করে দিতে রিজার্ভ বেঞ্চে বসবেন স্যাম বিলিংস। ফলে উইকেটের পিছনে দেখা যাবে শেল্ডন জ্যাকসনকে। যিনি চলতি আইপিএলের গোড়া থেকেই বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছেন।
মুম্বই কিছুটা চিন্তায় রয়েছে আনমোলপ্রীত সিং এবং বেসিল থাম্পিকে নিয়ে। দু’জনেই ফর্মের ধারে-কাছে নেই। তাঁদের বদলে প্রথম একাদশে আসতে পারেন সূর্যকুমার যাদব এবং জয়দেব উনাদকাট। যাঁরা দু’জনেই আগে নাইট শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ফলে শ্রেয়স আইয়ারদের কাছে প্রশ্নপত্র রীতিমতো কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
বাড়তি চিন্তা এমসিএ স্টেডিয়ামের ২২ গজ। যেখানে বরাবরই স্পিনারদের থেকে পেসাররা বেশি সাহায্য পান। এক্ষেত্রে উমেশ যাদবের ফর্ম যদি নাইটদের বাড়তি অক্সিজেন যোগায় তবে সম্মিলিত শক্তিতে পিছিয়ে নেই মুম্বইও। এক্স ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে জসপ্রীত বুমরা এবং টাইমাল মিলসের উপস্থিতি। আর তাঁদের সামাল দেওয়ার বাড়তি দায়িত্ব বর্তাচ্ছে অজিঙ্ক রাহানে এবং বেঙ্কটেশ আইয়ারের উপর।