১০ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না বুমরা
ময়ূখ লাহিড়ী
১০ ওভার শেষে এক উইকেটে ৮৭। আরও ওভার তিনেক বাদে দু'উইকেটে ১২৩। টি-২০ ম্যাচে এমন অবস্থা থেকে যে কোনও দলই দুশো পেরিয়ে যাওয়ার আশা করবে। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্স থেমে গেল ন'উইকেটে ১৬৫-তেই। অর্থাৎ, শেষ সাত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে সাকুল্যে ৩২ রান। নেপথ্যে জসপ্রীত বুমরার আগুনে বোলিং। চলতি আইপিএলে সেভাবে দাগ কাটতে পারছিলেন না কোটিপতি লিগের অন্যতম সেরা ফসল। বোধহয় সব রাগটুকু উগরে দিলেন নাইটদের বিরুদ্ধেই। নিজের শেষ তিন ওভারে চার রান খরচ করে তিন উইকেট! এর মধ্যে ইনিংসের ১৮ তম ওভার তিন উইকেট-সহ মেডেন! তাই দল ৫২ রানে পর্যুদস্ত হলেও ১০ রানে পাঁচ উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে গেলেন বুমরাই।
চলতি আইপিএলে ১১ ম্যাচ খেলার পরেও ওপেনিং জুটি নিয়ে থিতু হতে পারেননি ব্রেন্ডন ম্যাকালামরা। কিন্তু সোমবার বেঙ্কটেশ আইয়ার ও অজিঙ্ক রাহানের জুটি দলকে অনেকাংশেই ভরসা যোগাল। দু'জনে মিলে সাড়ে পাঁচ ওভারেই তুললেন ৬০ রান। যার মধ্যে ২৪ বলে ৪৩ বেঙ্কটেশের। জিঙ্কস আউট হওয়ার পরেও খেলা ধরে নিয়েছিলেন নীতীশ রানা (২৬ বলে ৪৩)। কিন্তু বুমরা আক্রমণে আসতেই শুরু হারাকিরি। উপমহাদেশের পিচে শর্ট বল মানে অবশ্যম্ভাবী বিপদ ডেকে আনা। অথচ বুমরা সেই দুঃসাহসই দেখালেন। আর 'চিন মিউজিক' মন্ত্রেই নিলেন পাঁচ উইকেট।
মুম্বই ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই শুরু বিতর্ক। যার পিছনে থাকছে যুক্তি ও প্রযুক্তির দ্বন্দ্ব। ফুটেজ বলছে, বল রোহিতের ব্যাট ছোঁয়নি। এদিকে স্নিকোমিটারে স্পাইক। আউটের সিদ্ধান্তে দৃশ্যতই হতাশ রোহিত মাঠ ছাড়লেন গজরাতে গজরাতে। এরপরই প্যাট কামিন্স, আন্দ্রে রাসেলরা মুম্বই ব্যাটিংকে যে সাঁড়াশি আক্রমণের সামনে ফেললেন তা থেকে বেরোনোর আর পথ পায়নি নীতা আম্বানির দল। একা ঈশান কিষাণ (৪৩ বলে ৫১) মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। কিন্তু পাহাড় হতে থাকা চাপের মুখে ছন্দপতন হল তাঁরও। নিট ফল, ১৭.৩ ওভারে ১১৩ রানেই শেষ মুম্বই।
জয়ের রাস্তায় ফিরতে বদ্ধপরিকর নাইট শিবির এদিন প্রথম দলে পাঁচটি পরিবর্তন করেছিল। আর সেই নতুন কম্বিনেশনই হয়ে উঠল উইনিং কম্বিনেশন।
আইপিএলের টেবলে আপাতত ১০ পয়েন্টে রয়েছে চার দল -- দিল্লি ক্যাপিটালস (নেট রানরেট +০.১৫), সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (নেট রানরেট -০.০৩), কলকাতা নাইট রাইডার্স (-০.০৬) এবং পাঞ্জাব কিংস (-০.২৩)। তবে বাকি তিন দল ১১ টি করে ম্যাচ খেলেছে। সেখানে কেকেআর খেলেছে ১২ টি ম্যাচ। ফলে বাকি দলের ফলের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে নাইটদের প্লে-অফে ওঠার অঙ্ক। তবে তার আগে গ্রুপে নিজেদের শেষ দু'ম্যাচে বড় ব্যবধানে জেতাই চ্যালেঞ্জ শ্রেয়সদের।