অধিনায়কত্ব চালিয়ে টেস্ট ও একদিনের ম্যাচে; চাপ কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ইংল্যান্ড সফরে ব্যাট হাতে প্রত্যাশিত ছন্দে দেখা যায়নি তাঁকে। চার টেস্টে মাত্র দু’বার ৫০ রানের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন। তারপর থেকেই উঠছিল প্রশ্ন, নেতৃত্বের চাপে কি হারিয়ে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যান কোহলি? সেই জল্পনাকে সত্যি করেই বৃহস্পতিবার টি-২০ দলের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন বিরাট। এদিন এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই টিম ইন্ডিয়ার সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়বেন তিনি। তবে টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন। টি-২০ ম্যাচ খেলবেন শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে।
বিবৃতিতে বিরাট আরও জানিয়েছেন, গত আট-ন’বছর ধরে তিন ফরম্যাটেই সমানে খেলে আসছেন তিনি। গত পাঁচ-ছ’বছর ধরে টানা নেতৃত্ব সামলেছেন তিন ফরম্যাটেই। যা তাঁর ক্রিকেট জীবন দীর্ঘায়িত করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তার জেরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোচ রবি শাস্ত্রী, সীমিত ওভারের দলে তাঁর ডেপুটি রোহিত শর্মা, বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বোর্ড সচিব জয় শাহের সঙ্গে কথা বলে।
উল্লেখ্য, রবি শাস্ত্রীও ভারতীয় কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন টি-২০ বিশ্বকাপের পর। যিনি বিরাটের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত। শাস্ত্রীর না থাকাই কি কোহলিকে আরও ঠেলে দিল এমন সিদ্ধান্তের দিকে? প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী টি-২০ অধিনায়ক কে হবেন তা নিয়ে। যদিও বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই মনে করছেন ফর্ম, রেকর্ড এবং অভিজ্ঞতার বিচারে রোহিত শর্মারই নেতৃত্ব পাওয়া উচিৎ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে পাঁচবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে এবং তাঁর ব্যাটিং এবং নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, চলতি সহস্রাব্দের গোড়ার দিকে ‘মাল্টিপল ক্যাপ্টেন থিওরি’-র প্রবর্তন করেছিলেন তৎকালীন অস্ট্রেলীয় কোচ জন বুকানন। ২০০৭-০৮ মরশুমে ভারতীয় দলেও চালু হয়েছিল তা। যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অনিল কুম্বলে এবং একদিনের দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৪ বছর পরে সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।