ব্যাটে-বলে নজর কাড়লেন সায়নশেখর
সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়
পঞ্চম দিনেও বৃষ্টি সঙ্গ ছাড়লো না বেঙ্গল টি-২০ চ্যালেঞ্জের। তারই মধ্যে চূড়ান্ত রোমাঞ্চকর জায়গায় উপস্থিত হল রবিবারের প্রথম ম্যাচ। যা কমিয়ে আনা হয়েছিল ১১ ওভারে।
কলকাতা প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১১ ওভারে আট উইকেটে ৭৩ রান তোলে। করণ লাল ১৫ বলে ২৫ রান করেন। রবিকান্ত সিং (২/৫) ও সন্দীপন দাস (২/৭) নজরকাড়া বল করেন।
ভিজেডি পদ্ধতিতে লক্ষ্য দাঁড়িয়ে যায় ৭৫। সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে হারাতে থাকে দুর্গাপুর। ১০ ওভার শেষে সাত উইকেটে ৬৯ রান তোলে দুর্গাপুর। দলকে তখন টানছেন শাকির হাবিব গান্ধী (১৫ বলে ২৫)। এমন সময় পরপর দু'বলে অরিত্র চট্টোপাধ্যায় ও রবিকান্ত সিংকে আউট করে খেলা কলকাতার দিকে ঝুঁকিয়ে দেন অলোক প্রতাপ সিং (৩/১৭)। এরপরেই শাকির বাউন্ডারি মারেন ও একটি রান নেন। দলের স্কোর তখন ৭৪/৯। কিন্তু জয়সূচক রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান শাকির। ম্যাচ টাই। করণ লাল ছ'রানে দু' উইকেট নেন। গীত পুরিও (৩/১২) ভালো বল করেন।
সুপার ওভারে দুর্গাপুর সাকিবের পাঁচ বলে ২২ রানের সৌজন্যে এক উইকেটে ২৪ রান তোলে। জবাবে কলকাতা মাত্র চার বলের মধ্যে চার রানে দু'উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হেরে যায়।
দ্বিতীয় ম্যাচে কাঞ্চনজঙ্ঘা ১৩ ওভারে ১২৬/৪ তোলে। মূলত, সুমন্ত গুপ্তর ৩০ বলে ৪৭, অভিরূপ গুপ্তর ১০ বলে অপরাজিত ২৬, অনুষ্টুপ মজুমদারের ২১ বলে ২৭ ও সায়নশেখর মণ্ডলের (১১ বলে ২১) মতো ব্যাটসম্যানদের জন্য।
জবাবে ১০৬/৮ তুলে খড়গপুর ম্যাচ হেরে যায় তবে। কাজী সৈফি ৩০ বলে ৩৯ ও প্রয়াস রায়বর্মন ১০ বলে ২৪ না করলে সেই রানও উঠত না। মিথিলেশ দাস (৩/২০), সায়নশেখর মণ্ডল (২/১৮) দুর্দান্ত বল করে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে জয় এনে দেন।
এদিনের ম্যাচের করেন বাংলার নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান শুভময় দাস।