কাজে লাগল না উইলিয়ামসনের নজরকাড়া ইনিংস
স্পোর্টিওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক
একদিনের ক্রিকেটে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কিন্তু ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জোটেনি কোনওদিন। এবারও অজিদের নিয়ে আশাবাদী ছিলেন না বিশেষজ্ঞরা। যার মূল কারণ ছিল বাংলাদেশে গিয়ে টি-২০ সিরিজে মাহমুদউল্লাদের বিরুদ্ধে পর্যুদস্ত হয়ে আসা। এমনকি সেই সিরিজে ৬৩ রানে অল আউটের লজ্জাও জুটেছিল ক্যাঙারুবাহিনীর কপালেণ। আরব মুলুকেও সেরকমই মন্থর পিচে পড়তে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। যার জেরে টেকনিক এবং রণকৌশলের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন অ্যারন ফিঞ্চরা। কিন্তু যাবতীয় প্রতিকূল পরিস্থিতিকে সদর্পে দুরমুশ করে হিসাব উল্টে দেওয়াই তো অজিদের মজ্জাগত! আর সেই ভঙ্গিতে খেলেই প্রথমবারের মতো টি-২০ বিশ্বকাপ ট্রফি ক্যানবেরা নিয়ে গেল অ্যারন ফিঞ্চ অ্যান্ড কোং। তাও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নিউজিল্যান্ডকে ট্রান্স-তাসমান দ্বৈরথে আট উইকেটে হারিয়ে এবং ১৭৩ রানের মতো কঠিন লক্ষ্য তাড়া করে।
অজিদের সেই খারুস মানসিকতার জেরেই কাজে লাগল না কেন উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত ইনিংস। তাঁর অধিনায়কোচিত ৪৮ বলে ৮৫ রান ভালো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল কিউইদের। অজি বোলারদের মধ্যে একমাত্র জশ হ্যাজলউড (৩/১৬) ছাড়া কেউই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। কিউই সর্মথকরা ভেবেছিলেন, ২০১৫ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের বদলা নেওয়ার এই সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু অন্যরকম ভেবেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ। অধিনায়ক ফিঞ্চ (৫) দ্রুত আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ বলে ৯২ রানের জুটি গড়লেন তাঁরা। আর তাতেই তৈরি হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিত। ওয়ার্নার ৩৮ বলে ৫৩ রান করে আউট হয়ে গেলেও মার্শকে টলানো যায়নি। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (১৮ বলে ২৮ অপরাজিত) সঙ্গী করে তুললেন ৩৯ বলে ৬৬ রান। আর নিজে অপরাজিত থাকলেন ৫০ বলে ৭৭ রান করে।
ট্রেন্ট বোল্ট ছাড়া কোন কিউই তাঁদের থেকে সমীহ আদায় করতে পারেননি। দলের অভিজ্ঞতম টিম সাউদি ৩.৫ ওভারে খরচ করলেন ৪৩ রান। আর এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিলেন সেই ইশ সোধিকে পিটিয়ে তিন ওভারে ৪০ রান তুললেন অজি ব্যাটসম্যানরা। নিট ফল, সাত বল বাকি থাকতেই প্রথমবারের মতো ট্রফি ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া। আর মনমাতানো ইনিংস খেলেও উইলিয়ামসন থেকে গেলেন নিষ্ফলে হতাশের দলে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর আরও একবার ফাইনালে উঠেও মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হল তাঁদের।