টিম কম্বিনেশন নিয়ে ধোঁয়াশায় কেকেআর
অশ্বিন-চাহল বনাম নারাইন-বরুণ। সোমবারের ম্যাচের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে স্পিন-জুটির দ্বৈরথেই। রাজস্থান রয়্যালস যেমন ঘুঁটি সাজাচ্ছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অভিজ্ঞতা আর যুজবেন্দ্র চাহলের সাম্প্রতিক ফর্মকে মাথায় রেখে, তেমনই কলকাতা নাইট রাইডার্সও অস্ত্র শানাচ্ছে সুনীল নারাইন এবং বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনের জালের উপর নির্ভর করে। যদিও চলতি আইপিএলে সঞ্জু স্যামসনের দলই স্পিনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক মেজাজে রয়েছে। ফলে নারাইনদের কাজ রীতিমতো কঠিন হতে চলেছে।
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম অ্যান্ড কোং-এর কাজ বাড়িয়ে দিয়েছেন ওপেনাররা। অজিঙ্ক রাহানে প্রথম ম্যাচের পরেই নিষ্প্রভ। তাঁর বদলি হিসাবে গত ম্যাচে খেলানো হয়েছিল অ্যারন ফিঞ্চকে। কিন্তু ফিঞ্চকেও ছন্দহীন লেগেছে। অন্য ওপেনার বেঙ্কটেশ আইয়ার গত আইপিএলের ফর্ম থেকে অনেক দূরে। সবমিলিয়ে পাওয়ার প্লে-তে এত কম রান উঠছে যে মিডল এবং লোয়ার অর্ডার চাপে পড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নারাইনকে ওপেন করতে পাঠানোর চিন্তাভাবনা ঘোরাফেরা করছে নাইটদের অন্দরমহলে। কারণ, অশ্বিনের বিরুদ্ধে নারাইন এবং নীতিশ রানার রেকর্ডই সবচেয়ে ভালো।
গত ম্যাচে স্যাম বিলিংস অসুস্থ ছিলেন। ফলে বিদেশি কোটায় ফিঞ্চকে খেলাতে সমস্যা হয়নি। কিন্তু বিলিংস আপাতত ফিট। এদিকে, উইকেটের পিছনে নজর কেড়েছেন শেল্ডন জ্যাকসনও। ফলে টিম কম্বিনেশন কি হবে তা ম্যাচের চার ঘণ্টা আগেও স্পষ্ট নয়।
রাজস্থান শিবিরে অবশ্য সেসব সমস্যা নেই। চোটের জন্য আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি ট্রেন্ট বোল্ট। তাঁর জায়গায় খেলেছিলেন আর এক কিউই জিমি নিশ্যাম। তবে সোমবার বোল্টকেই প্রথম একাদশে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা।
দু'দলেরই পয়েন্ট আপাতত ছয়। সোমবারের ম্যাচ যারাই জিতবে তারাই প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে যাবে। আর সেই জায়গাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টায় রয়েছেন শ্রেয়স আইয়াররা।