মুস্তাক আলিতে ধারাবাহিকতা অব্যহত।
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কসৈয়দ মুস্তাক আলির দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেল বাংলা। নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তোলে বাংলা।জবাবে মাত্র ১৪৫ রানেই শেষ হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের ইনিংস।
অনুষ্ঠুপ মজুমদারের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল বাংলা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গত ম্যাচের মতো শুরুটা ভালোই করেছিলেন বিবেক সিং এবং শ্রীবৎস গোস্বামী। কিন্তু ২৮ বলে তিনটি চারের সাহায্যে ২৭ রানের ইনিংস খেলে আজও উৎকর্ষ সিংয়ের শিকারে পরিণত হন শ্রীবৎস। তেমন ভাবে রানে ফিরতে পারেননি অধিনায়ক অনুষ্ঠুপ এবং মনোজ তিওয়ারিও। তবে অন্যপ্রান্ত থেকে সহায়তা না পেলেও নিজের ব্যাটিংয়ে কোন প্রভাব পড়তে দেননি বিবেক সিং। ইনিংস শুরু থেকে শেষ অবধি একই রকম আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি।
মাত্র ৬৪ বলে তেরোটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি সাহায্যে নিজের চমৎকার শতরান পূর্ণ করেন বিবেক সিং। তার এই অপরাজিত ইনিংসের সৌজন্যেই নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের বড় লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলা। ঝাড়খণ্ডের হয়ে নির্ধারিত ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন মনু কুমার। এছাড়া রাহুল শুক্লা দুটি এবং উৎকর্ষ সিং তুলে নেন একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঈশান কিশান, বিরাট সিংহের মত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১৪৫ রানেই শেষ হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের ইনিংস। আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ঈশান কিশান তেমনভাবে নজর কাড়তে পারেননি এই ম্যাচে। ২৫ বলে দুটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২২ রান করে অর্ণব নন্দীর শিকারে পরিণত হন তিনি। তার সতীর্থ ওপেনিং পার্টনার আনন্দ সিংহকে ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফিরিয়ে দেন আকাশদীপ। এরপর শুভঙ্কর বলের পরিবর্তে দলে আসা ঋত্বিক চ্যাটার্জী এবং স্পিনার শাহবাজ আহমেদের সৌজন্যে পঙ্কজ কুমার এবং কুমার সিরাজকেও দ্রুত হারায় ঝাড়খন্ড। তবে বিরাট সিংহের সঙ্গে ম্যাচের হাল ধরেন উৎকর্ষ সিং। মাত্র ৩৫ বলে চারটি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি সাহায্যে ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন বিরাট। কিন্তু অর্ধশতরান পূর্ণ করার ঠিক আগেই তাকে ফিরিয়ে দেন ঋত্বিক চ্যাটার্জী। অন্যদিকে ২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ যোগদান রাখেন উৎকর্ষ সিং। কিন্তু ইনিংস বড় করার আগেই মুকেশ কুমার ফিরিয়ে দেন তাকেও। এরপর অনুকূল রায়, নাদিম এবং বিকাশ সিংহকে ফিরিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন ঈশান পোড়েল।