আপাতত ৫৬ রানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কদেওয়ালে পিঠ ঠেকার আগে বোধহয় এভাবেই দেওয়ালজুড়ে লিখতে হয়। যেভাবে রবিবারের গাব্বায় লিখলেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং শার্দুল ঠাকুর।
চোট-আঘাতে বিপর্যস্ত দল। কার্যত দ্বিতীয় সারির একাদশ। তার উপর অস্ট্রেলিয়ার ৩৬৯ রানের বোঝা। যার পিছনে ছুটতে গিয়ে ১৮৬ রানে ছ’উইকেট চলে গিয়েছিল ভারতের। চার দিনে হারের ভূত তখন রীতিমতো জাঁকিয়ে বসছে টিম ইন্ডিয়ার অন্দরমহলে। কিন্তু সেখান থেকেই হিসাব উল্টে দিতে শুরু করলেন ওয়াশিংটন এবং শার্দুল। ৩৬ ওভার ব্যাট করে তাঁদের জুটির অবদান ১২৩ রান। আর সেই জুটিই প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে আনল অজিঙ্ক রাহানে অ্যান্ড কোং-কে। দলের প্রথম সারির ক্রিকেটাররা চোট না পেলে যাঁদের দলে জায়গাই হত না, সেই দু’জনই গড়ে দিলেন মজবুত লড়াইয়ের মঞ্চ। কেউই প্রয়োজনের অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক হয়ে খেলেননি। আবার স্কোরবোর্ডও সচল রেখেছেন। পাল্টা চাপে ফেলেছেন অজিদের। একসময় মনে হচ্ছিল, ১২০-১৫০ রানের লিড নেবে অজিরা। কিন্তু শার্দুল-ওয়াশিংটনের বদান্যতায় সেটাই গিয়ে ঠেকল মাত্র ৩৩-এ। অস্ট্রেলিয়ার ৩৬৯-এর জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হল ৩৩৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান বিনা উইকেটে ২১।
দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশন ধুয়ে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। যার জেরে রবিবার সকালে সুং বোলারদের জন্য যথেষ্ট সাহায্য মজুত ছিল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্ক রাহানে প্রথম মিনিট চল্লিশেক সামলে দিয়েছিলেন। কিন্তু জশ হ্যাজলউডের নিখুঁত আউটসুইঙ্গার পুজারার (২৫) ব্যাট ছুঁইয়ে টিম পেইনের গ্লাভসে জমা পড়তেই চন্দপতন। রাহানে এদিন শুরু থেকেই শট খেলতে গিয়ে ফস্কাচ্ছিলেন। তারই খেসারত দিয়ে ফিরলেন ৩৭ রান করে। ছ’নম্বরে নামা মায়াঙ্ক আগরওয়াল বরং অনেক বেশি সপ্রতিভ ছিলেন। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হওয়ার মাশুল দিতে গিয়ে ৩৮ রানেই শেষ তাঁর প্রতিরোধ। এরপরেই শুরু ওয়াশিংটন এবং শার্দুলের অবিস্মরণীয় লড়াই। প্যাট কামিন্সের বলে শার্দুল (৬৭) বোল্ড হওয়ার পরে বেশিক্ষণ টেকেননি ওয়াশিংটনও (৬২)। গতি, সুইং আর বাউন্সকে কাজে লাগিয়ে ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট নেন হ্যাজলউড।
নতুন বলের বয়স মাত্র ছ’ওভার। সোমবার সকালটা যদি ভারতীয় বোলাররা অজি ব্যাটসম্যানদের জন্য ‘মানডে ব্লুজ’-এ পরিণত করতে পারেন তাহলে কিন্তু হিসাব উল্টে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকবে।