অভিষেকেই অপরাজিত ২১০ রান কাইলি মেয়ার্সের
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কডিক্লেয়ার করাই কাল হল মোমিনুল হকের। প্রথম ইনিংসে ১৭১ রানের লিড। চতুর্থ ইনিংসে ৪০০-ছুঁইছুঁই লক্ষ্য। বিপক্ষের ভাঙাচোরা তৃতীয় সারির দল। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক ভাবতেই পারেননি যে হার হজম করতে হতে পারে। একেবারে অনভিজ্ঞ দল নিয়ে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশকে প্রথম টেস্টে হারিয়ে দিল তার নেপথ্যে কাইলি মেয়ার্স নামের এক অখ্যাত বার্বাডিয়ান। অভিষেক টেস্টে ৩১০ বলে ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে যিনি একার হাতে হারালেন পদ্মাপাড়ের বাঙালিদের। পাশে পেয়েছিলেন আর এক অভিষেককারী এনকুমরা বোনারকে (৮৬)।
রেকর্ড বলছে, এর আগে অভিষেক টেস্টে দ্বিশতরান করার নজির রয়েছে মাত্র পাঁচজনের – টিপ ফস্টার (২৮৭, ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১৯০৩), লরেন্স রো (২১৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম নিউজিল্যান্ড, ১৯৭২), ব্রেন্ডন কুরুপ্পু (২০১ অপরাজিত, শ্রীলঙ্কা বনাম নিউজিল্যান্ড, ১৯৮৭), ম্যাথু সিনক্লেয়ার (২১৪, নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৯৯) এবং জাক রুডলফ (২২২ অপরাজিত, দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ, ২০০৩)। তবে মেয়ার্সই প্রথম ক্রিকেটার যিনি অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিশতরান করলেন। মেয়ার্সের এদিনের ইনিংস ২০ টি বাউন্ডারি ও সাতটি ছক্কায় সাজানো। ৪১৫ মিনিট ক্রিজে থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৩০ রানের জবাবে ২৫৯ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। দ্বিতীয় ইনিংসে আট উইকেটে ২২৩ রান তুলে ইনিংস ছেড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৩৯৫। চতুর্থ দিনের শেষে তাদের রান ছিল তিন উইকেটে ১১০। কিন্তু বোনার এবং মেয়ার্সের ২১৬ রানের জুটি ২৭৫ পর্যন্ত পৌঁছে দেয় ক্যারিবিয়ানদের। যা দুই অভিষেককারীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। অক্ষত থাকল খালিদ ইবাদুল্লা ও আব্দুল কাদিরের ২৪৯ রানের জুটি (পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া, ১৯৬৪)। টেল-এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মেয়ার্স। যা এশিয়ায় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ভারতের। ২০০৮-০৯ মরশুমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৮৭ তাড়া করে জিতেছিল মহেন্দ্র নিং ধোনি অ্যান্ড কোং।
১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কনান দ্য বার্বারিয়ান’ ছবি খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারকে। রবিবারের ইনিংস যদি কাইলিকে ‘মেয়ার্স দ্য বার্বাডিয়ান’ নামে পরিচিতি দেয় তাহলে অবাক হওয়ার নেই।