চিপকে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২২৭ রানে হেরে বিপর্যস্ত ভারতের সাজঘর। ঘরের মাঠে রেকর্ড রানে হার আত্মবিশ্বাস টলিয়ে দিয়েছে গোটা দলের। এই অবস্থায় একজন প্রকৃত অধিনায়কের কাজ দলকে আড়াল করা, ভরসা দেওয়া। একজন সফল অধিনায়কের এটাই কর্তব্য, অতীতে যা দেখা গিয়েছে রিকি পন্টিং, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তীদের মধ্যে। কিন্তু সেটাই করলেন না বিরাট।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্রী হারের কারণ হিসেবে সতীর্থদের মানসিকতা এবং শরীরী ভাষা’কেই দায়ী করলেন কোহলি। সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে কোহলি বলেন, “ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। অশ্বিন এবং পেসাররা চেষ্টা চালালেও তা যথেষ্ট ছিল না। আমরা প্রচুর বাজে রান খরচ করায় ওরা এতটা রান করতে পারল। পক্ষান্তরে ইংল্যান্ডের স্পিন এবং পেস দুই ডিপার্টামেন্টই কাঁধে কাধ মিলিয়ে দারুণ বোলিং করেছে, যেটা আমরা পারিনি।”
খেলোয়াড়দের মানসিকতার সমালোচনা করে তাঁর আরও সংযোজন, “আমাদের মধ্যে খুনে মানসিকতার অভাব ছিল। এই নেতিবাচক মানসিকতা টেস্ট হারের অন্যতম কারণ।”
বোলারদের পাশাপাশি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদেরও কাঠগোড়ায় তুলেছেন বিরাট। তাঁর কথায়, “প্রথম ইনিংসে টপ অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ। যতটা খেলার মিডল অর্ডারই খেলেছে। আমাদের মতো দলের এই ভুলগুলো কাম্য নয় এবং মেনে নেওয়াও যায় না। আমাদের তুলনায় অনেক বেশি পেশাদার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে ইংল্যান্ড।”
অধিনায়ক কোহলির ব্যর্থতা নতুন কোনও বিষয় নয়। এই কারণে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে তাঁকে অব্যহতি দেওয়ার কথাও একাধিকবার বলেছেন বহু বিশেষজ্ঞ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে তাঁর নেতৃত্বে হারলেও পর পর তিন টেস্টে অপরাজিত থেকে সিরিজ জিতে নিয়েছিল অজিঙ্ক রাহানের ভারত। কিন্তু ফের বিরাটেরর হাতে অধিনায়কত্বে ব্যটন উঠতেই মুখ থুবড়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়া।