কালিঘাট মাঠে ফাস্ট ডিভিশনের প্রথম ম্যাচে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল ডালহৌসি ক্লাব।
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক
কোভিডের চোখরাঙানিতে প্রায় ১১ মাস শান্ত ছিল বাইশগজে। অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস বাংলার ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য। দীর্ঘ ৩৩৪ দিন পর বাংলায় শুরু হল ঘরোয়া ক্রিকেট।
গত বছরের মার্চ মাসে লকডাউনের পর বিশ্ব জুড়ে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল খেলাধুলো। স্বাভাবিকভাবে ক্রিকেটও এই তালিকার আওতায় ছিল। আইপিএলে আয়োজিত হলেও, তা দেশের মাটিতে হয়নি। স্থান পরিবর্তন করে এই মেগা ইভেন্ট আয়োজিত হয়েছিল দুবাইয়ে। এরপর অস্ট্রেলিয়া সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরে দেশে। মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে আয়োজন করে ঘরোয়া ক্রিকেটও শুরু করে দেয় বিসিসিআই।
অপেক্ষা ছিল শুধু বাংলার বাইশগজের মুখে হাসি ফোটার। শনিবার সেই আশাও মিটল বঙ্গ ক্রীড়াপ্রেমীদের। এদিন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি মিলিয়ে মোট ১৪টি ম্যাচ আয়োজন করেছে সিএবি।
কালিঘাট মাঠে ফাস্ট ডিভিশনের প্রথম ম্যাচে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল ডালহৌসি ক্লাব। রাজস্থান ক্লাবের মাঠে দ্বিতীয় শ্রেণির প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় শিবপুর ইনস্টিটিউট এবং সেন্ট্রাল ক্যালকাটা স্পোর্টিং ক্লাব। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া, সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সহ-সভাপতি নরেশ ওঝা, কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস গাঙ্গুলি, যুগ্ম-সচিব দেবব্রত দাস’রা টসে করে জেসি মুখার্জি ট্রফি (প্রথম শ্রেণি) এবং এনসি চ্যাটার্জি ট্রফি (দ্বিতীয় শ্রেণি) সূচনা করেন এদিন। ম্যাচের আগে টুর্নামেন্টে কমিটির চেয়ারম্যান নীতিশ রঞ্জন দত্ত, ফিক্সচার এবং টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ দস্তিদার, গ্রাউন্ড কমিটির চেয়ারম্যান মদন ঘোষ এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সংবর্ধনা জানান অভিষেক ডালমিয়া।
ম্যাচের আগে মাঠকে ভালো করে স্যানিটাইজ করা হয়। এছাড়া কোভিডের যাবতীয় প্রোটোকল মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটার এবং ক্লাবগুলিকে। প্রতিটি দলের ইনিংস চলাকালীন ১০ ওভার অন্তর পাঁচ মিনিটের একটি ‘হাইজেনিক ব্রেক’ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।