• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

গোলাপি বলেও স্পিনের ভেলকি অক্ষর-অশ্বিনের

১১২ রানেই শেষ ইংল্যান্ড; লড়ছেন রোহিত

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বরাবরই চমক দিয়ে এসেছেন তিনি। এবার চমক দেখাল তাঁর নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামের ২২ গজও।

পেস বোলিং – ৩৩২ উইকেট। স্পিন বোলিং – ১৫৪ উইকেট। এপর্যন্ত খেলা গোলাপি বলের সবক’টি টেস্টে এটাই ছিল পরিসিংখ্যান। যেখানে বড়সড় থাবা বসাল বুধবারের আহমেদাবাদ। নবনির্মিত নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সারাদিনে পড়ল ১৩ উইকেট। যার মধ্যে ১১ টিই গেল স্পিনারদের ঝুলিতে। গোলাপি বলের যাবতীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। ঘরের মাঠে গোলাপি বলকে কার্যত কথা বলালেন অক্ষর পটেল। চেন্নাইয়ে অভিষেক টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর এদিন তাঁর শিকার ৩৮ রান দিয়ে ছ’উইকেট। তার জেরেই মাত্র ১১২ রানে থমকে গেল ইংল্যান্ড। যার জবাবে প্রথম দিনের শেষে তিন উইকেটে ৯৯ রান তুলে যথেষ্ট সুবিধাজনক জায়গায় টিম ইন্ডিয়া।

দিন-রাতের টেস্ট মানেই পিচে হালকা ঘাস ছাড়া থাকে। যাতে বলের পালিশ বজায় থাকে। আর সে পালিশকে কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করে যান পেসাররা। এদিনও সেই ছকেই শুরু করেছিলেন ইশান্ত শর্মারা। নিজের শততম টেস্টে ডম সিবলিকে (০) ফিরিয়ে শুরুটাও দারুণ করেছিলেন ইশান্ত। কিন্তু ম্যাচের ষষ্ঠ ওভার থেকেই ম্যাচের দখল নিয়ে নিলেন স্পিনাররা। নতুন বলকে অক্ষর, অশ্বিনরা যেভাবে টার্ন করালেন তাতে বো্ঝাই যাচ্ছিল না টেস্টের প্রথম দিন না শেষ দিন। বেন স্টোকসরা ব্যাটও করছিলেন সেরকমই সাবধানী মেজাজে। জ্যাক ক্রলি ৫৩ রান করলেন ঠিকই। কিন্তু বাকিদের কাছ থেকে সেভাবে সঙ্গই পেলেন না। প্রথম সেশনের ইংল্যান্ডের রান ছিল চার উইকেটে ৮১। ততক্ষণে প্যাভিলিয়নে জনি বেয়ারস্টো (০), জো রুটরা (১৭)। দ্বিতীয় সেশনে কোনও রান যোগ করার আগেই পড়ে যায় আরও দু’উইকেট। ৯৮ রানের মাথায় যখন ইংল্যান্ডের অষ্টম উইকেট পড়ল তখন ধারাভাষ্যকারদের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছিলেন যে রুটরা তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারবেন কি না। কিন্তু শেষমেশ দলকে ১১২ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান বেন ফোকস (১২), জোফ্রা আর্চাররা (১১)। অশ্বিন ২৬ রানে তিন উইকেট নেন। পঞ্চম বোলার হিসাবে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ব্যবহার করার প্রয়োজনই পড়েনি।

নৈশালোকে গোলাপি বল সামলাতে গিয়ে শুরুতে যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছিলেন ভারতীয় ওপেনাররা। শুভমান গিল ক্যাচ স্লিপে স্টোকস না ফেললে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যেতে পারত টিম ইন্ডিয়া। তবে পড়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি গিল (১১)। আহমেদাবাদে হওয়া শেষ টেস্টে দ্বিশতরান করেছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। কিন্তু এদিন ফিরলেন শূন্য করে। যদিও ডিআরএস নিলে বেঁচে যেতেন সৌরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যান। বিরাট কোহলি তৃতীয় উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েছিলেন রোহিত শর্মার সঙ্গে। কিন্তু জীবন পেয়েও বড় রান করতে পারেননি ভারত অধিনায়ক (২৭)। ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছেন রোহিতও। দিনের শেষে ৫৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন অজিঙ্ক রাহানে (১ ব্যাটিং)। দ্বিতীয় দিন মুম্বইয়ের জুটি দলকে কতটা টেনে নিয়ে যেতে পারেন সেটাই এখন দেখার।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top