ভারত বনাম ইংল্যান্ড একদিনের সিরিজ।
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ককরোনার প্রকোপকে পিছনে ফেলে সবাই যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। ঠিক সেই মুহূর্তেই ফের থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে করোনার দাপট দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে ফের লকডাউন ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এরই মধ্যে পুনেতে বসছে ভারত-ইংল্যান্ড একদিনের সিরিজ। এর এই সিরিজ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
তবে মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি এখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ফলে এমনিতেই জল্পনা দেখা দিয়েছিল আদৌ ভারত বনাম ইংল্যান্ড একদিনের সিরিজের আসর পুণেতে বসবে কিনা তা নিয়ে একটা রটনাও বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে তিনটি একদিনের ম্যাচ হয়ত পুনেতে থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। কলকাতার বুকে আয়োজিত হতে পারে সেই সিরিজ। তবে সব জল্পনাকে দূরে সরিয়ে জানা গেল পুণেতে ফাঁকা গ্যালারিতে আয়োজিত হবে এই সিরিজ।
অর্থাৎ চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টের পর যে সমর্থকদের মাঠে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল তা তুলে নেওয়া হল। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই খেলতে হবে কোহলি-রুটদের।
বিসিসিআই এবং মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিইয়েশনের তরফে জানানো হয় পুনে থেকে শেষ পর্যন্ত একদিনের সিরিজ সরছে না। কিন্তু কোভিডের বাড়বাড়ন্তে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে তিনটি একদিনের ম্যাচ পুনেতে ফাঁকা গ্যালারিতে আয়োজন করতে হবে। মহারাষ্ট্র সরকার এই শর্তেই সেখানে ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে বাড়ার ফলে একদিনের সিরিজ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিকাশ কাকাতকার ও গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মিলিচ্ঞ নাভরেকার শনিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উব ঠাকরে এবং পর্যটন মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে দেখা করে এক দীর্ঘ বৈঠক করেন এই বিষয়ে ম্যারাথন সেই বৈঠকের পরেই সিধান্ত হয় ফাঁকা গ্যালারিতে একদিনের ম্যাচগুলি আয়োজন করলে সরকারের কোনও আপত্তি নেই।
এমসিএর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয, ‘মুখ্যমন্ত্রী সিরিজ আয়োজনের করার অনুমতি দিয়েছেন। যাবতীয় কোভিড সুরক্ষাবিধি মেনে ম্যাচ আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটারা যে হোটেলে থাকবে সেই হোটেলে কর্মচারিদের অগ্রিম কোয়ারেন্টাইনে করে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ক্রিকেটারদের উপর এবং হোটেলে বহিরাগতদের প্রবেশের উপর বাড়তি নজর দেওয়া হবে।’