• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

শেষ টেস্টে নামার আগে সতর্ক টিম ইন্ডিয়া

ড্র করলেই মিলবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

ঘূর্ণি পিচ। যার জেরে মাত্র দেড় দিনেই শেষ হয়েছে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। ইংল্যান্ড কি পারবে শেষ টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে? নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের চৌহদ্দিতে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নটাই।

তৃতীয় টেস্টে হারের জেরে ঘরের মাঠে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়ে গিয়েছে জো রুটদের। চতুর্থ টেস্ট জিতলে সিরিজ হার এড়ানো যাবে ঠিকই, কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা নেই। উল্টোদিকে, লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামা নিশ্চিত করতে হার এড়াতেই হবে বিরাট কোহলিদের। নাহলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া।

এই পরিস্থিতিতে দুই দলকেই নিজেদের ঘুঁটি নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। ইংল্যান্ড শিবিরের অন্দরমহলের খবর, দলের বেশকিছু ক্রিকেটার পুরোপুরি সুস্থ নন। যার মূল কারণ আহমেদাবাদের গরম। সেই গরমের জেরেই আরও শুকিয়ে গিয়েছে মোতেরার ২২ গজ। পিচের যা অবস্থা তাতে জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডকে একসঙ্গে খেলাতে চাইছে না ইংল্যান্ড। তাঁদের মধ্যে যে কোনও একজনের খেলার সম্ভাবনা। তৃতীয় টেস্টের দু’ইনিংসেই শূন্য করার জেরে মারাত্মক চাপে রয়েছেন জনি বেয়ারস্টো। অন্য সময় হলে বেয়ারস্টোর হাতে কিপিং গ্লাভস তুলে দিতে পারতেন রুট। কিন্তু আপাতত যিনি উইকেটের পিছনে দাঁড়াচ্ছেন সেই বেন ফোকস ব্যাট হাতে কিছুটা হলেও নির্ভরতা যোগাচ্ছেন লোয়ার মিডল অর্ডারকে। ফলে বেয়ারস্টোর বদলি হিসাবে ড্যান লরেন্সকে খেলানোর চিন্তাভাবনা চলছে। বিকল্প স্ট্র্যাটেজি হিসাবে উঠে আসছে তিন স্পিনার খেলানোর ছক। সেক্ষেত্রে একজন পেসার কমিয়ে জ্যাক লিচের সঙ্গে ডম বেস এবং মইন আলি দু’জনকেই খেলানো হতে পারে।

টিম ইন্ডিয়াও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত নয়। জসপ্রীত বুমরা না থাকায় ‘উইনিং কম্বিনেশন’ ভাঙতেই হচ্ছে। কিন্তু তাঁর জায়গায় উমেশ যাদব খেলবেন নাকি মহম্মদ সিরাজ, সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কোহলি, শাস্ত্রীরা। চিন্তা রয়েছে অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়কের ব্যাটিং ফর্ম নিয়েও। শুভমান গিলও ওপেনিং-এ প্রত্যাশিত ছন্দে নেই। তবে ব্যাটিং বিভাগে সেভাবে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।

দলকে বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে দুই স্পিনারের ফর্ম। চেন্নাইয়ে অভিষেক হওয়ার পর থেকে দু’টেস্টে ১৮ উইকেট নিয়েছেন অক্ষর পটেল। বোলিং গড় দশেরও কম। তারই মধ্যে আরও একবার সুযোগ পাচ্ছেন ঘরের মাঠে নামার। যা পিচে নামার জন্য ঠোঁট চাটছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। গত ম্যাচেই ৪০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তামিল অফস্পিনার। সঙ্গে রাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে এসে দুর্দান্তভাবে ব্যবহার করেছেন ক্যারম বল এবং দুসরা। তৃতীয় টেস্টে দু’জনে এমনই বল করেছেন যে ওয়াশিংটন সুন্দরকে সেভাবে ব্যবহার করার দরকারই হয়নি। তবে ওয়াশিংটনের কাছ দল লোয়ার অর্ডারে যে রান প্রত্যাশা করেছিল তা পূরন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বোলিং-এ আরও বৈচিত্র্য আনতে ওয়াশিংটনের জায়গায় খেলানো হতে পারে কুলদীপ যাদবকে।

তবে শেষ টেস্টের ২৪ ঘণ্টা আগেও পিচ নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। বল যে প্রথম দিন থেকেই টার্ন করবে তা বুঝে গিয়েছে দুই শিবিরই। ফলে টস জিতলে আগে ব্যাট করার নীতিই বহাল থাকছে। যাতে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা এড়ানো যায়। তার চেয়েও বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বল। গোলাপি বলই যেভাবে লাট্টুর মতো ঘুরেছে তাতে লাল বল কতটা ঘুরবে তা রীতিমতো চিন্তার বিষয়। তার উপর, করোনা পরিস্থিতিতে বলে থুতু ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে অনেক দ্রুত পুরোনো হয়ে যাচ্ছে বল। এই পরিস্থতিতে অশ্বিন-অক্ষর বিপক্ষের কাছে বিভীষিকা হয়ে উঠতে পারেন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top