• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

পন্থের শতরানে চাপে ইংল্যান্ড

দিনের শেষে ভারতের রান ৭ উইকেট খুঁইয়ে ২৯৪।

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

ফের শতরান ঋষভ পন্থের। তাঁর ব্যাটে ভর করেই এগিয়ে রইল টিম ইন্ডিয়া। আরও চাপে পড়ে গেল ইংল্যান্ড। চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন থেকেই চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। ইংরেজদের চাপে ফেলে দেওযার পিছনে অন্যতম কারিগর রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং অক্ষর প্যাটেল। এই দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতে মাত্র ২০৫ রানেই শেষ হযে যান রুটরা। প্রথম দিনেই অলআউট হয়ে যান তারা।

শুরু থেকে এগিয়ে থাকায় অ্যাডভান্টেজ পায় ভারত। ইংল্যান্ডকে চাপে রাখতে প্রথম দিনের শুরুটা ভারতের জন্য ভাল হলেও শেষটা মোটেই ভালো হয়নি বিরাটদের। ব্যাট করতে নেমে শুভমান গিল অ্যান্ডারসনের বলে ফিরে যান। প্রথম উইকেট হারিয়ে দিনের শেষে চাপে ছিল ভারত। তবে ক্রিজে চেতেশ্বর পূজারা এবং রোহিত শর্মা থাকায় কিছুটা হলেও চাপ কমে।

দ্বিতীয় দিনের শুরুটা বেশ ভালভাবেই করে ভারত। রোহিত-পূজারা জুটি দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। সকালের পিচে সেইভাবে দাগ কাটতে পারেননি ইংরেজ বোলাররা। মোতেরার সেই বিতর্কিত পিচে রাজ করতে থাকেন এই দুই ক্রিকেটার। বেশ ভালো মত দলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা। লিচবেসঅ্যান্ডারসনদের কোনও তোয়াক্কাই করেননি এই দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।

এরই মধ্যে লিচের বল বুঝতে না পেরে ৬৬ বলে ১৭ রানের মাথায় এলবিডব্লু হয়ে ফিরে যান পূজারা। ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক কোহলি। কিন্তু এই ম্যাচে তিনি সবাইকে হতাশ করেন। কোনও রান না করেই সেটাকসের বলে ফিরে যান তিনি। পরপর দুই উইকেট পতনে চাপে পড়ে যায় ভারত। চাপ বাড়ায় ইংল্যান্ডও। সেই চাপ যে খুব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পেরেছিল ইংরেজরা সেটা একেবারেই বলা যাবে না। অজিঙ্কা রাহানে নামতেই রানে ফেরে ভারত। রানের গতি বাড়াতে থাকেন রোহিতও। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ভর করে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।

ইংল্যান্ডের বোলারদের যোগ্য জবাব দেন রোহিত। লিচবেসকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকেন তিনি। এরই মধ্যে ফের উইকেট পতন ঘটে ভারতের। রাহানেকে ৪৫ বলে ২৭ রান দিয়ে তুলে নেন অ্যান্ডারসন। মাত্র ৮০ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওযায় মনে হয়েছিল ইংল্যান্ডের পথেই এগোচ্ছে ভারত। কিন্তু সেই ভুল ভাবনাকে ঝেড়ে ফেলে দেন ঋষভ পন্থ।

নামতেই নিজের ভঙ্গিমায় এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়ে যে কিভাবে উঠে আসা যায় তা হয়ত পন্থকে দেখেই শেখা উচিত। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর এই সিরিজেও নিজের শতরান করতে ভুললেন না তিনি। রোহিতের সঙ্গে দাপিয়ে ব্যাটিং করে গেলেন। অবশ্য অল্পের জন্য অর্ধশত রান হাতছাড়া করেন রোহিত। সেটাকসের বলে ব্যক্তিগত ৪৯ রানের মাথায ফিরে যান তিনি। খেলেছেন ১৪৪টি বল। ঝুলিতে রয়েছে ৭ টি বাউন্ডারি।

রোহিত ফিরে গেলেও পন্থ একেবারেই চাপ নেয়নি। চাপহীনভাবে মোতেরার ক্রিজে ব্যাটিং করে যেতে থাকেন তিনি। রোহিতের পর ব্যাট করতে নামেন অশ্বিন। তবে তিনিও খুব একটা রানের মুখ দেখতে পারেননি। ৩২ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান অ্যাশ। মাত্র ১৪৬ রানের মধ্যে ৬ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। চাপ বাড়ে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। এরপরেই জমে ওঠে খেলা।

ওয়াশিংটন সুচ্ঞর আসেন ব্যাট করতে। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দুই টেলএন্ডার মিলে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। একদিনের ম্যাচ হচ্ছে না টেস্ট ম্যাচ চলছে তা কার্যত বোঝা দায় হয়ে পড়ে। ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেন পন্থ। সেই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের ল্যাজে গোবরে অবস্থা হয়। বোলিং লাইন আপে পরিবর্তন আনলেও কোনও কাজ হয়নি তাতে। রানের গতি এতটাই থাকে যে বেসামাল হযে পড়ে রুট ব্রিগেড।

অর্ধশতরান করেন পন্থ। সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। ওভার বাউন্ডারি দিয়ে নিজের শতরান পূর্ণ করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তবে আর বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি তিনি। অ্যান্ডারসনের বলে ১০১ রানের মাথায় ফিরে যান। ১১৮ বলের মধ্যে ১৩ টি বাউন্ডারি এবং ২ টি ওভার বাউন্ডারি মারেন পন্থ।

পন্থ ফিরে গেলেও সুচ্ঞর ব্যাটিং করে যান। তিনিও অর্ধশতরান করেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে ১১৭ বলে ৬০ রানে অপরাজিত রয়েছেন সুচ্ঞৰ। সেই সঙ্গে অক্ষত রয়েছেন প্যাটেল ৩৪ বলে ১১ রান করে। দিনের শেষে ভারতের রান ৭ উইকেট খুঁইয়ে ২৯৪। 89 রানে লিড করছে ভারত। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন এবং ২টি করে উইকেট নিযেছেন সেটাকস এবং লিচ।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top