পাঁচ ম্যাচের সিরিজ আপাতত ২-২
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কআট রানে কষ্টার্জিত জয়। কিন্তু এতটা কষ্ট কি করতে হত টিম ইন্ডিয়াকে? ইংল্যান্ডকে কি আরও সহজে হারাতে পারত বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং? বৃহস্পতিবারের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নটাই। যার নেপথ্যে থাকছে আম্পায়ারিং বিতর্ক।
রি-প্লে অনুযায়ী, অন্তত দু’টি ক্ষেত্রে ‘বেনফিট অফ ডাউট’ পেতেই পারত ব্যাটিং দল অর্থাৎ ভারত। প্রথমত, সূর্যকুমার যাদবের আউটের ক্ষেত্রে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে রীতিমতো নজর কাড়ছিলেন মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যান। মাত্র ২৮ বলে পূর্ণ করেছিলে অর্ধশতরান। কিন্তু ৩১ বলে ৫৭ রানেই থামতে হল তাঁকে। মাঠের আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারও কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌ&ছতে পারেননি। ফলে মাঠের আম্পায়ারের ‘সফট সিগন্যাল’-এর উপর নির্ভর করেই সূর্যকুমারকে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যদিও রি-প্লে দেখে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন দাউইদ মালানের হাত থেকে বল মাটি স্পর্শ করেছিল। দ্বিতীয়ত, ওয়াশিংটন সুন্দরের ক্ষেত্রে। ভারতীয় ইনিংসের শেষ ওভার। চতুর্থ বলে থার্ড ম্যান বাউন্ডারিতে আদিল রশিদের হাতে ধরা পড়েছিলেন সুন্দর। মাঠের আম্পায়ার ‘সফট সিগন্যাল’-এ আউট দিলেও রিপ্লে-তে স্পষ্ট হয়নি যে বল হাতে থাকাকালীন রশিদের গোড়ালি বাউন্ডারি লাইন ছুঁয়েছিল কি না।
ক্রিকেটের গতানুগতিক নিয়মমাফিক ব্যাটসম্যান ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ পেলে ভারতের রান এদিন হয়তো দু’শো পেরিয়ে যেত। কিন্তু তা না হওয়ায় আট উইকেটে ১৮৫ রানেই আটকে যায় টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ইংল্যান্ড হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেও আট উইকেটে ১৭৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ম্যাচ জিতে আপাতত সিরিজে নিজেদের জেতার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ এখন ২-২। শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচ।
এদিনও টস হারলেন বিরাট। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এদিনও টিম ম্যানেজমেন্ট খেলালও চূড়ান্ত অফ ফর্মে থাকা কে এল রাহুলকে। তাও ঈশান কিষাণকে বাইরে রেখে। সেই রাহুল এদিনও ব্যর্থ। মাত্র ১৪ রান করতেই নিয়ে নিলেন ১৭ বল। ম্যাচের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে সাড়াজাগানো শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ১২ রানের বেশি এগোতে পারেননি। তিন নম্বরে সূর্যকে নামানোর ছক এদিন পুরোপুরি সফল। কিন্তু আগের দু’ম্যাচে রান পাওয়া অধিনায়ক এদিন ফিরলেন মাত্র এক রান করেই। রশিদের গুগলিতে ঠকে গিয়ে। বরং দ্রুত রান তুলে মিডল ওভারে দলে ভালো জায়গায় নিয়ে গেলেন শ্রেয়স আইয়ার (১৮ বলে ৩৭) এবং ঋষভ পন্থ (২৩ বলে ৩০)। ব্রিটিশদের হয়ে ৩৩ রানে চার উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার।
আগের ম্যাচের নায়ক জস বাটলার (৯) এদিন ব্যর্থ। বড় রান পাননি মালানও (১৪)। কিন্তু জেসন রয় (২৭ বলে ৪০) এবং জনি বেয়ারস্টো (১৯ বলে ২৫) মিডল অর্ডারকে প্র্যোজনীয় অক্সিজেন যুগিয়ে যাচ্ছিলেন। রয় আউট হওয়ার পর রানের গতি বাড়িয়ে দলকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বেন স্টোকস (২৩ বলে ৪৬)। কিন্তু পরপর দু’বলে স্টোকস এবং মর্গ্যানকে (৪) ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে মোক্ষম ধাক্কা দেন শার্দূল ঠাকুর। যুজবেন্দ্র চাহলের পরিবর্তে দলে আসা রাহুল চাহরও (২/৩৫) তুলে নেন মালান এবং বেয়ারস্টোকে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। আর্চার (৮ বলে ১৮ অপরাজিত) যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও দলকে হারের মুখ থেকে ফেরাতে পারেননি। চার ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে দু’উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ড্য।