• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

অভিষেকেই জাত চেনালেন ক্রুনাল-প্রসিধ, সিরিজে এগোল টিম ইন্ডিয়া

শতরান ফস্কালেন শিখর এবং বেয়ারস্টো; বল হাতে নজর কাড়লেন ভুবি-শার্দূল 

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

"বিগিনার'স লাক"? নাকি নতুন তারকাদের জন্মলগ্ন? পাকাপাকি উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে। তবে মঙ্গলবারের পুনেতে টিম ইন্ডিয়ার দুই অভিষেককারী যে খেল দেখালেন তাতে ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীরা নতুন ফ্যান ক্লাব খুলতেই পারেন। প্রথমে ব্যাট হাতে মাতকাটারি ইনিংস খেলে ভারতকে তিনশোর ওপারে নিয়ে গেলেন ক্রুনাল পাণ্ড্য। আর পরে ভয়ঙ্কর হতে থাকা ইংল্যান্ডের হাত থেকে দুরন্ত বোলিং-এ ম্যাচ ছিনিয়ে আনলেন প্রসিধ কৃষ্ণ। এদিন প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ৩১৭ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে ২৫১-তেই শেষ ব্রিটিশরা।
টিম ইন্ডিয়ার শুরুটা অবশ্য মসৃণ হয়নি। তাজা পিচে পেসারদের জন্য যথেষ্ট সাহায্য মজুত ছিল। বাউন্স, গতি, সুইং, সিম মুভমেন্ট সামলে প্রথম উইকেটে ৬৪ রান তুলেছিলেন রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান। কিন্তু তাতেই লেগে গিয়েছিল ১৫ ওভার। রোহিত (২৮) আউট হওয়ার পর রানের গতি কিছুটা বাড়িয়েছিলেন বিরাট কোহলি এবং শিখর। দুই দিল্লিওয়ালা দ্বিতীয় উইকেটে ১৭ ওভারে ১০৫ রান যোগ করেছিলেন। কিন্তু বিরাট (৫৬) ফিরতেই ছন্দপতন। নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলেনেলেন শিখর। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে শতরানের খরা তাঁর ব্যাটে। গত বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৯৬ রানে ফিরেছিলেন। এদিন ফিরলেন ৯৮ করে। রেকর্ড বলছে, একদিনের ম্যাচে এই নিয়ে পঞ্চমবার নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন শিখর। শ্রেয়স আইয়ার (৬) এবং হার্দিক পাণ্ড্য (১) আউট হওয়ার পর একসময় পাঁচ উইকেটে ২০৫ হয়ে গিয়েছিল ভারতের স্কোর। সেখান থেকেই শুরু কে এল রাহুল এবং ক্রুনালের তাণ্ডব। টি-২০ সিরিজে জঘন্য ফর্মে থাকা রাহুল করলেন ৪৩ বলে ৬১। আর ক্রুনাল খেললেন ৩১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। ২৬ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে গড়লেন নতুন বিশ্বরেকর্ড। ভাঙলেন নিউজিল্যান্ডের জন মরিসের অভিষেকে দ্রুততম (৩৫ বলে) অর্ধশতরানের রেকর্ড। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে মাত্র ৬১ বলে ১১২ রান যোগ করেন রাহুল-ক্রুনাল। ৩৪ রানে তিন উইকেট নেন বেন স্টোকস।
ইংল্যান্ড শুরুটা করেছিল দুর্দান্তভাবে। ওপেনিং জুটিতে কার্যত ঝড় তুলছিলেন জনি বেয়ারস্টো এবং জেসন রয়। এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচে ৩০২ রান তুলেছিল তাঁদের ওপেনিং জুটি। আর এদিন মাত্র ৮৬ বলে ১৩৫ রান তুলে দলকে রীতিমতো শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। আস্কিং রেট তখন সোয়া পাঁচের আশেপাশে। কিন্তু রয় (৪৬) আউট হওয়ার পর আর কোনও জুটিই গড়তে পারেনি ইংল্যান্ড। ছক্কা হাঁকিয়ে শতরানে পৌঁছতে গিয়ে আউট হন বেয়ারস্টো (৬৬ বলে ৯৪)। স্টোকস (১), অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান (২২), জস বাটলার (২), স্যাম বিলিংস (১৮), মইন আলিরা (৩০) দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি। প্রথম ভারতীয় হিসাবে অভিষেকে চার উইকেট নিয়ে নজর কাড়লেন প্রসিধ (৪/৫৪)। বসে পড়লেন স্যার কার্টলে অ্যামব্রোস, সরফরাজ নওয়াজদের সঙ্গে একাসনে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনটি উইকেট তুলে নিলেন শার্দূল ঠাকুরও। আর নিজের যাবতীয় অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ন'ওভারে মাত্র ৩০ রান খরচ করে দু'উইকেট নিলেন ভুবনেশ্বর কুমার।
হারের পর মর্গ্যান মানছেন, পরিকল্পনামাফিক খেলতে পারেননি তাঁরা। আর উচ্ছ্বসিত বিরাট বলছেন, "শুরুতে রান হজম করার পরেও দুর্দান্তভাবে ফিরে এল প্রসিধ। রাহুল-ক্রুনালের জুটিই ম্যাচের চেহারা বদলে দিল। তবে আমি আর শিখর টিকে যেতে পারলে ৩৫০ রানে পৌঁছে যেতাম।"

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top