কাজে লাগল না রাহুলের লড়াকু শতরান
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কদু’জনের ব্যাট থেকে এল ১৭ টি ছক্কা। তাতে ভর করেই ১১৭ বলে ১৭৫ রান এল দ্বিতীয় উইকেটে। আর সেখানেই টিম ইন্ডিয়ার হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিইয়ে গেলেন জনি বেয়ারস্টো এবং বেন স্টোকস। শুক্রবারের চোখধাঁধানো জুটির জেরে যাঁদের ডাকা হচ্ছে ‘বেয়ারস্টোকস’ নামে। সেই বেয়ারস্টোকস জুটির দৌলতেই ধোপে টিকল না ৩৩৭ রানের আপাত কঠিন লক্ষ্য। বরং ৩৯ বল বাকি থাকতেই হেলায় ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড। সমতা ফেরাল সিরিজেও।
কাজে লাগল না কে এল রাহুলের শতরান, ঋষভ পন্থ, বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ড্যদের ইনিংসও। শিখর ধাওয়ান (৪) এবং রোহিত শর্মা ফিরে যাওয়ার পর ভারতীয় ইনিংসকে মজবুত করার কাজে লেগেছিলেন বিরাট এবং রাহুল। তৃতীয় উইকেটে ১২১ রান যোগ করেছিলেন দু’জনে। বিরাট ৬৬ রানে ফেরার পর রানের গতি বাড়ানোর কাজে হাত দিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। খোলস ছেড়ে বেরোচ্ছিলেন ‘শিট অ্যাঙ্কর’-এর ভূমিকা পালন করা রাহুলও। তার জেরেই চতুর্থ উইকেটে যোগ হয়েছিল ৮০ বলে ১১৩ রান। একদিনের ক্রিকেটে পঞ্চম শতরান হাঁকিয়ে রাহুল (১০৮) ফেরার পর হার্দিক এবং ঋষভ ডেথ ওভারকে কাজে লাগানোর পুরোদস্তুর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। মাত্র ২৮ বলে অর্ধশতরান পূরন করেছিলেন ঋষভ। তবে মোক্ষম সময়ে তিনি (৪০ বলে ৭৭ রান) ফিরে যাওয়ায় শেষ তিন ওভার সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। হার্দিক অবশ্য ১৬ বলে ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে যান।
অবশ্য শেষ তিন ওভারে কাজে লাগালেও ইংল্যান্ডকে সমস্যায় ফেলা যেত না। ভারতের বিরুদ্ধে জেসন রয়-বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটির গড় ১০০-এর উপর। এদিনও রয় (৫৫) যখন ফিরলেন ততক্ষণে প্রথম উইকেটে ১১০ রান যোগ হয়ে গিয়েছে। তারপরেই শুরু বেয়ারস্টোকসের তাণ্ডব। আগের ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি ফস্কেছিলেন বেয়ারস্টো। এদিন আর কোনও ভুলচুক করেননি। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১১২ বলে ১২৪ রানের ইনিংস। আর স্টোকস? ৪০ বলে পৌঁছেছিলেন অর্ধশতরানে। পরের ১১ বলে করলেন ৪৯ রান। ম্যাচ বেরিয়ে গেল ওখানেই।
তবে বিশেষজ্ঞদের তোপের মুখে পড়েছেন দুই অধিনায়ক। ইয়ন মর্গ্যানের হাতে চোট থাকায় এদিন ইংল্যান্ডের হয়ে টস করতে নেমেছিলেন জস বাটলার। কিন্তু যেভাবে উইকেটের পিছনে দু’টি ক্যাচ ফেললেন তাতে বেয়ারস্টোকে দিয়ে কিপিং করানোর দাবি উঠছে। ব্যাট হাতেও পারফরম্যান্স তথৈবচ। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন দুই। এদিন শূন্য। তবে ফিল্ড প্লেসিং-এ যথেষ্ট নৈপুণ্যের ছাপ রাখলেন বাটলার। সেই ফিল্ড প্লেসিং-এর ফাঁদেই উইকেট দিয়ে এলেন রোহিত। সেই ফিল্ড প্লেসমেন্টের জেরেই আটকে গেল টিম ইন্ডিয়ার একগুচ্ছ বাউন্ডারিও। তবে বাটলারের প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মিডল ওভারে স্পিনাররা যথেচ্ছ মার খাচ্ছিলেন। পিচেও কোনও টার্ন বা বাড়তি বাউন্স মজুত ছিল না। তা সত্ত্বেও কুলদীপ যাদব এবং ক্রুনাল পাণ্ড্যকে দিয়েই বল করিয়ে গেলেন। নিট ফল, ১০ ওভারে কুলদীপ খরচ করলেন ৮৪ রান। আর ক্রুনালের ছ’ওভারে উঠল ৭২!
সবমিলিয়ে রবিবারের নির্ণায়ক ম্যাচের আগে চিন্তার ভাঁজ ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্কের কপালে।