• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

আফগান হুঁশিয়ারি নস্যাৎ করে জয় নাইটদের

প্রথম ম্যাচেই ছন্দে নীতিশ রানা; জাত চেনালেন রাহুল

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

ম্যাচ আধঘণ্টা এগিয়ে আসায় সুবিধা পাচ্ছে পরে ব্যাট করা দল। শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হারের পর এমনই মত ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির। মাহির সেই তত্ত্বকে নস্যাৎ করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১০ রানে জয় তুলে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রবিবার চেন্নাইতে আগে ব্যাট করে ছ’উইকেটে ১৮৭ রান তুলেছিল নাইটরা। জবাবে পাঁচ উইকেটে ১৭৭ রানের বেশি করতে পারেনি সানরাইজার্স।

এদিন শুরু থেকেই আক্রমণের ছক নিয়েছিলেন ওপেন করতে নামা নীতিশ রানা। কিন্তু অন্যদিন থেকে তাঁকে সেভাবে সাহায্য করতে পারছিলেন না শুভমান গিল। ইংল্যান্ড সিরিজ থেকেই ফর্ম সঙ্গ দিচ্ছে না। এদিনও ১৩ বলে ১৫ রানের বেশি করতে পারলেন না পাঞ্জাব দা পুত্তর। বোল্ড হয়ে গেলেন রশিদ খানের বলে। কিন্তু তিন নম্বরে রাহুল ত্রিপাঠী নামতেই টপ গিয়ারে নাইটদের ইনিংস। তাঁদের ৫০ বলে ৯৩ রানের জুটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিল। নীতিশ অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন ৩৭ বলে, রাহুল ২৮ বলে। রাহুল যখন আউট হলেন তখনও নাইট ইনিংসের ২৮ বল বাকি। এই পরিস্থিতিতে আন্দ্রে রাসেলকে নামিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে নিতে চেয়েছল নাইট শিবির। কিন্তু সে গুড়ে বালি। বিধ্বংসী ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে পাঁচ রানের বেশি করতে দেননি রশিদ। পরের ওভারেই রশিদের আফগান সতীর্থ মহম্মদ নবি পরপর দু’বলে ফেরালেন নীতিশ (৫৬ বলে ৮০) এবং নাইট অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানকে (৩ বলে ২)। কিন্তু নাইটদের ১৮০-র গণ্ডি পা্র করে দেন দীনেশ কার্তিক (৯ বলে ২২ অপরাজিত)।

একটা সময় ছিল যখন সুনীল নারাইন খেলতে না পারলেই ব্যাকফুটে চলে যেত নাইটরা। কিন্তু এদিনের টিম কম্বিনেশনে সেই নারাইনকেই বাইরে রেখে নামল দল। বদলে দলে ৪০ পেরোনো হরভজন। সেই ভাজ্জিকে দিয়েই বোলিং ওপেন করালেন মর্গ্যান। প্যাট কামিন্স পয়েন্টে ক্যাচ না ফেললে ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেটটা টার্বানেটরই পেতেন। যদিও ওয়ার্নারকে (৪ বলে ৩) বেশিক্ষণ টিকতে দেননি প্রসিধ কৃষ্ণ। পরের ওভারেই ঋদ্ধিমান সাহাকে (৬ বলে ৭) ফেরান শাকিব। ১০ রানে দু’উইকেট পরে যাওয়ার পর সানরাইজার্সকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন মণীশ পাণ্ডে ৯৪৪ বলে ৬১ অপরাজিত) এবং জনি বেয়ারস্টো (৪০ বলে ৫৫)। তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৯২ রান যোগ করেন তাঁরা। কিন্তু নবি (১১ বলে ১৪) বা বিজয় শঙ্কর (৭ বলে ১১) সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। সাত নম্বরে নামা আব্দুল সামাদ (৮ বলে ১৯ অপরাজিত) একটা মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে ম্যাচের ফল বদলায়নি।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top