ফের অর্ধশতরান নীতিশের; দুই ওপেনার বাদে দু’অঙ্কে পৌঁছতে পারলেন না কোনও নাইট
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক২৭ ম্যাচের ২১ টিতে হার। গত ১১ ম্যাচের ১০ টিতে পরাজিত। এমন লজ্জাজনক রেকর্ড উল্টে দেওয়ার যাবতীয় রসদ মজুত ছিল মঙ্গলবারের চিপকে। কিন্তু শেষমেশ কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে সেই নেমেসিস হয়েই থেকে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফাঁক থেকে গেল কাপ আর ঠোঁটের মাঝখানে। তাই শেষ পাঁচ ওভারে ৩১ রানের মামুলি লক্ষ্য সামনে থাকলেও হার হজম করতে হল ১০ রানে। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ১৫২ রানেই অল আউট হয়ে গিয়েছিল মুম্বই। জবাবে সাত উইকেটে ১৪২ রানেই আটকে গেল ইয়ন মর্গ্যান অ্যান্ড কোং।
তবে টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল না। টস জিতে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মর্গ্যান। উদ্দেশ্য জছিল, পরে ব্যাট করে শিশিরকে কাজে লাগানো। খেটে গিয়েছিল স্পিনার দিয়ে আক্রমণ শুরু করার ছকও। দ্বিতীয় ওভারেই বরুণ চক্রবর্তী প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কককে (৬ বলে ২)। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ বলে ৭৬ রান যোগ করে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা এবং সূর্যকুমার যাদব। রোহিত চেনা মেজাজে না থাকলেও নিজের পুরোনো দলের বোলিং-কে ভালোই বেগ দিচ্ছিলেন স্কাই। কিন্তু সূর্য (৩৬ বলে ৫৬) ফিরতেই ছন্দপতন। ব্যর্থ ঈশান কিষাণ (৩ বলে ১)। রোহিত (৩২ বলে ৪৩) আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছিল মুম্বই ব্যাটিং। ১১৫/৩ থেকে আচমকাই ১২৬/৭ হয়ে গিয়েছিল তাদের স্কোর। ম্যাচে সেই সময় রীতিমতো জাঁকিয়ে বসেছিল নাইটরা। যাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। মাত্র দু’ওভার বল করলেন। তার মধ্যেই ১৫ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট। রাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে এসে ক্রমাগত অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরে বল করছিলেন। যার ফলে বল বাউন্ডারিতে পাঠানোর সেরকম সুযোগ আচ্ছিলেন না মুম্বই ব্যাটসম্যানরা। হার্দিক পাণ্ড্য (১৭ বলে ১৫) এবং ক্রুনাল পাণ্ড্য (৯ বলে ১৫) ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ দু’অঙ্কের রান পাননি।
১৫৩ রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা যথেষ্ট ভালো করেছিলেন নীতিশ রানা এবং শুভমান গিল। শুভমান সেট হতে কিছুটা সময় নিলেও খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন সময়মতোই। উল্টোদিকে নিটিশ ছিলেন আগের ম্যাচের মতোই আগ্রাসী মেজাজে। ২৪ বলে ৩৩ রান করে শুভমান যখন আউট হলেন তখন নাইটদের রান ন’ওভারে ৭৩। জিততে চাই ১১ ওভারে ৮০ রান। হাতে ন’উইকেট। টি-২০ জমানায় নেহাতই জলভাত। কিন্তু সেই রান তাড়া করতে গিয়েই চূড়ান্ত হোঁচট খেল নাইটরা। চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে নাঈতদের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে ডাগ-আউটের রাস্তা দেখালেন রাহুল চাহর। তাঁর দুর্দান্ত লেগস্পিন খেলতে এদিন কার্যত হিমশিম খেলেন মর্গ্যানরা। নিট ফল, দুই ওপেনার বাদে আর কেউ দু’অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার খেসারত দিয়ে নীতিশ (৪৭ বলে ৫৭) যখন আউট হলেন তখন ৩৬ বলে ৩৯ রান দরকার। এমনকী, রাএল যখন ক্রিজে এলেন তখনও পুরদস্তুর নাইটদের নাগালে ছিল ম্যাচ। কিন্তু লাইন-লেংথ এবং গতির হেরফের করে রাসেল, কার্তিকদের পুরোপুরি বোতলবন্দী করে ফেললেন জসপ্রীত বুমরা, ক্রুনালরা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। কিন্তু নাইটদের কোনও সুযোগই দেননি ট্রেন্ট বোল্ট।
এদিকে, ২০১৪-এর পর এদিনই প্রথম আইপিএলে বল করতে দেখা গেল রোহিত শর্মাকে। তবে প্রথম বল করতে গিয়েই চট পেলেন পায়ে। তবে দলের ভিতরের খবর, আপাতত চোট সেরকম গুরুতর নয় হিটম্যানের।