• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

বিরাটদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া নাইটরা

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হবে কিং খানের দল।

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে চলতি আইপিএলের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ইয়ন মরগ্যানের দল। যদিও সেরকমটা হওয়ার কথা ছিল না। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শুরু থেকে ম্যাচের রাশ ছিল কেকেআরের হাতেই। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে পারেননি নাইট যোদ্ধারা।
স্বাভাবিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া নাইট রাইডার্স। তবে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ বেশ শক্ত। টানা দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটতে থাকা বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মুখোমুখি হবে কিং খানের দল। চিপকে তাই কঠিন পরীক্ষা নাইট ব্রিগেডের সামনে।
চলতি প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত বিরাটরাই একমাত্র দল হিসাবে সবকটি ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছে। ব্যাটিংয়ে গভীরতা বরাবরই আরসিবির সেরা অস্ত্র। তবে এবার বোলারদের সাফল্য স্বপ্ন দেখাচ্ছে বিরাটদের। যদিও নাইট শিবিরে আশা, বিরাটদের জয়রথ থামাতে সক্ষম হবে তারা। তার জন্য নিজেদের ফাঁকফোঁকড় মেরামত করার পাশাপাশি বিপক্ষের দুর্বল জায়গাতে আঘাত করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট।
দুটি ম্যাচেই জয়ের মুখ দেখলেও, বেশ কসরত করতে হয়েছে বিরাটদের। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে আরসিবি মুখোমুখি হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। হর্ষল প্যাটেল পাঁচ উইকেট নিয়ে রোহিতদের বেঁধে রাখেন ১৫৯ রানে। বিরাট, ম্যাক্সওয়েলের পাশাপাশি এবি ডিভিলিয়ার্সের মারকুটে ইনিংসের সৌজন্যে জয় পায় আরসিবি। তবে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় একেবারে শেষ বলে জয়ের মুখ দেখেছিল বিরাট ব্রিগেড।
দ্বিতীয় ম্যাচে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে খুব সহজে জয় আসেনি বেঙ্গালুরুর ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। বাংলার শাহবাজ আহমেদের একটা স্পেল এবং সানদের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় মাত্র ছয় রানে ম্যাচটি জেতে কোহলি অ্যান্ড কোং। করোনা জয় করে দলে ফিরেছেন দেবদূত পালিক্কাল। কিন্তু প্রথম ম্যাচে নজর কাড়তে ব্যর্থ এই বাঁহাতি তরুণ ওপেনার। ক্রিজে সেট হওয়ার পরও দুই ম্যাচেই ৩৩-এর গেরো টপকাতে পারেননি বিরাট। এবিডির ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে অজি তারকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কিন্তু দুই ম্যাচেই রান পেয়েছে। ফলে ম্যাক্সির জন্য আলাদা ভাবে পরিকল্পনা করতে হবে নাইটদের। 
এছাড়া শাহবাজ, ক্রিস্টিয়ান, হর্ষল, সুন্দররা কিন্তু ব্যাট হাতে দুটি ম্যাচেই দলকে ভরসা জোগাতে পারেননি। ফলে বিরাটদের বড় রানের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে প্রথম চারজন ক্রিকেটারের ওপরই। এটা অজানা নয় কেকেআরের। বল হাতে একমাত্র হর্ষল ধারাবাহিক হলেও, বাকিরা কিন্তু এখন পর্যন্ত নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।
কেকেআর তো বরাবরই আনপ্রেডিক্টেবল। কলকাতার দলটিকে নিয়ে বাজি ধরার সাহস দেখাতে পারেন না অনেকেই। প্রথম ম্যাচে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিলেও, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচ ‍হাতছাড়া করেছেন নাইটরা। তবে ওপেনার নীতিশ রানা দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। অপর ওপেনার শুভমন গিল কিন্তু এখনও পর্যন্ত বড় রানের মুখ দেখেননি।
রাহুল ত্রিপাঠী প্রথম ম্যাচে রান পেলেও, দ্বিতীয়টিতে ব্যর্থ। অধিনায়ক মরগ্যান ব্যাট হাতে কিছুই করে দেখাতে পারেননি। আর এক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিকও সানদের বিরুদ্ধে একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন। তবে রোহিতদের কাছে হারের জন্য অনেকেই কার্তিককে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন।
গত ম্যাচে বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু সমর্থকরা রাসেলের ‍‘মাসেল পাওয়ার’ এখনও পর্যন্ত দেখতে পাননি। গতবারের সেরা আবিষ্কার বরুণ চক্রবর্তীও নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ। বিরাটদের বিরুদ্ধে তাই নাইটদের দলে কিছু পরিবর্তন দেখারও সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই ম্যাচেই হরভজন সিংকে দিয়ে বোলিং ওপেন করিয়েছিল নাইট রাইডার্স। কিন্তু সানদের বিরুদ্ধে এক এবং মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুই ওভারের বেশি হাত ঘোরাতে দেখা যায়নি ভাজ্জিকে। আরসিবির বিরুদ্ধে তাই টারবুনেটরের পরিবর্তে কুলদীপ যাদব বা পবন নেগিকে প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে।
লম্বা টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাকে বিশ্রাম দিয়ে শিবম মাভি বা কমলেশ নাগারকোটি সুযোগ পেতে পারেন এদিন। এছাড়া এই ম্যাচে বসতে পারেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে ভালো পারফর্ম করলেও, দুটি ম্যাচেই উইলো কথা বলেনি বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের। তাই সাকিবের পরিবর্তে মরশুমে প্রথমবার সুনীল নারিন দলে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
চলতি আইপিএলে বিকেলে আয়োজিত হওয়ার প্রথম হতে চলেছে আরসিবি-কেকেআর দ্বৈরথ। গত ম্যাচের বিভীষিকা ভুলে রবি সন্ধ্যায় ফের জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে মরিয়া কেকেআ

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top