এবার ব্যর্থ ব্যাটিং লাইনআপ।
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কহেরেই চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখল মরগ্যান ব্রিগেড। শনিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে হারল কেকেআর।
টসে জিতে নাইটদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন করে কিং খানের দল। কমলেশ নাগারকোটির বদলে মরশুমে প্রথমবার সুযোগ পান তরুণ পেসার শিবম মাভি। ব্যাটিংয়ের শুরুটা বেশ মন্থর ভাবে করে কেকেআর। দুই ওপেনার দ্রুত রান তোলার রাস্তায় না হেঁটে উইকেটে থিতু হওয়ায় বেশি মনযোগী হয়ে ওঠে। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে শুভমন গিল যখন রান আউট হন, তখন দলের স্কোর মাত্র ২৪।
নীতিশ রানা ২২ রান করতে নেন ২৫টি বল। নাইটদের হয়ে এদিন ব্যাট হাতে কিছুটা উজ্জ্বল ছিলেন রাহুল ত্রিপাঠী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরও তাঁর। ২৬ বলে ৩৬ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে ত্রিপাঠীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কোনও বলের মোকাবিলা না করেই রান আউটের শিকার হন নাইট অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান।
ব্যাট হাতে এদিন ফের ব্যর্থ সুনীল নারিন (৬)। মিডল অর্ডারে দীনেশ কার্তিক কিছুটা লড়াই চালালেও, বাকিরা সকলেই ব্যর্থ। গত ম্যাচের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের ছিটেফোঁটাও ছিল না এদিন। একটি ছক্কা হাঁকিয়ে রাসেল (৭ বলে ৯ রান) ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিলেও, আদতে হতে পারেননি। একই অবস্থা প্যাট কামিন্সেরও (৬ বলে ১০ রান)। মূলত ক্রিস মরিসের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে মাথা নত করে নাইট ব্যাটিং লাইনআপ।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট খুইয়ে মাত্র ১৩৩ রান তোলে বাদশার দল। ক্রিস মরিস একাই নেন চারটি উইকেট। একটি করে উইকেট দখল করেন জয়দেব উনাদকাট, চেতন সাকারিয়া এবং মুস্তাফিজুর রহমান।জবাবে শুরুতে উইকেট খোয়ালেও, রান তোলার গতির সঙ্গে কোনও আপস করেননি রয়্যালস ব্যাটসম্যানরা। জস বাটলার (৫ রান) দ্রুত ফিরলেও, এই ম্যাচে প্রথম সুযোগ পাওয়া জসহাসভি জয়ওয়াল (১৭ বলে ২২ রান) দলের জন্য কিছুটা অবদান রাখেন। এরপর সঞ্জু স্যানসন এবং শিবম দুবে টানতে থাকেন পিঙ্ক সিটির ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে। ১৮ বলে ২২ রান করে ফেরেন দুবে। এরপর রাহুল তেওয়াটিয়া ব্যর্থ হলেও, ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সঞ্জু স্যামসন। ৪১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন সঞ্জু। ২৩ বলে ২৪ রানে অপরাজিত মিলার।মরশুমে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে বেশ নজর কাড়লেন মাভি। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৯ রানের বিনিময়ে তুলে নিলেন একটি উইকেট। বরুণ চক্রবর্তী ২টি উইকেট পেলেও, ৪ ওভারে খরচ করলেন ৩২ রান। নারিন কোনও উইকেট পাননি। তবে নিজের চার ওভারে মাত্র ২০ রান দেন মিস্ট্রি স্পিনার। তবে বল হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ প্যাট কামিন্স। ৩.৫ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে কোও উইকেট দখল করতে পারেননি তিনি।