চলতি আইপিএল প্রথমবার সাক্ষী থাকল সুপার ওভারের।
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কচলতি আইপিএল প্রথমবার সাক্ষী থাকল সুপার ওভারের। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে মাঠ ছাড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। পৃথ্বী শ মারমুখী মেজাজে শুরু করলেও, অপর ওপেনার শিখর ধাওয়ানের ইনিংস বেশ মন্থর। ৩৯ বলে ৫৩ রান করে গব্বরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জন্য রান আউট কবলে পড়ে ফিরতে হয় পৃথ্বীকে। রশিদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৬ বলে ২৮ রান করেন ধাওয়ান। ছন্দে ছিলেন পন্থও। ২৭ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। স্টিভ স্মিথ ২৫ বলের মোকাবিলা করে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। শিমরন হেটমেয়ার (১) ব্যর্থ। মার্কাস স্টোইনিস (অপরাজিত ২) সেভাবে ব্যাট করার সুযোগ পাননি। সানরাইজার্সের হয়ে সিদ্ধার্থ কউল দুটি এবং রশিদ খান একটি উইকেট পান।
জবাবে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারের (৮ বলে ৬) উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় সান শিবির। কিন্তু প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন জনি বেয়ারস্টো এবং কেন উইলিয়ামসন। মাত্র ১৮ বলে ৩৮ রানে ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ড তারকা ফেরার পর বিরাট সিংকে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন উইলিয়ামসন। ১৪টি বল নষ্ট করে মাত্র ৪ রানে ফেরেন বিরাট।
এরপর কিউয়ি অধিনায়ককে সঙ্গ দেওয়ার জন্য ক্রিজে আসেন কেদার যাদব। তবে কেদারও (৯ বলে ৯) ব্যাট হাতে ব্যর্থ। অভিষেক শর্মা, রশিদ খান, বিজয় শঙ্কর সকলেই এদিন উইলিয়ামসনকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ।
উলটোদিকে তখন অর্ধশতরান হাঁকিয়ে একা কুম্ভের মতো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন উইলিয়ামসন। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ বলে সানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন থাকে ২ রান। তারা ১ রান করতে সক্ষম হয়। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ৫১ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামসন। প্রশংসার দাবিদার জগদীশ সুচিতও। মাত্র ৬ বলে মারকুটে ১৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বিগহিটার বেয়ারস্টোকে না নামিয়ে উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে সুপার ওভারে ব্যাট করতে আসেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। দিল্লি শিবির ভরসা রাখেন অক্ষর প্যাটেলের ওপর। ফলস্বরূপ মাত্র ৭ রান তোলে সানরাইজার্স। মাত্র একটি চার আসে উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে।
ক্যাপিটালসের হয়ে ব্যাট করতে নামেন ধাওয়ান এবং পন্থ। রশিদ খানের হাতে বল তুলে দেন ওয়ার্নার। দুই ইনিংসেই স্পিনার বল করছে, এরকম ঘটনা আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবার দেখা গেল। তবে শেষ পর্যন্ত জয় পায় দিল্লি। শেষ বলে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১ রান। ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে জয়সূচক রানটি।