সিএবি আয়োজিত প্রথম ডিভিশন একদিনের ক্রিকেটের ফাইনালে ভবানীপুরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান। মঙ্গলবার সল্টলেকের যাদবপুর ক্যাম্পাসে ভবানীপুর ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়ে মরশুমের প্রথম ট্রফি ঘরে তুলল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
এদিন ব্যাট হাতে সকলের মন জয় করে নিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ঝড়ের বেগে শতরান হাঁকিয়ে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান তিনি। তাঁর ব্যাটিং বিক্রমের সামনে ফিকে হয়ে যায় অভিষেক দাসের সেঞ্চুরি। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট খুইয়ে ২৮৮ রান তোলে ভবানীপুর ক্লাব।ওপেনার অভিষেক দাস ১০১ বলে ১০০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। অপর ওপেনার অভিষেক রামনও অর্ধশতরান করেন। ৫২ রানে আউট হন তিনি। কৌশিক ঘোষ (২০) বিশেষ সুবিধা করতে না পারলেও, বাংলার তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান অগ্নিভ পান ৫০ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। তবে মিডল এবং লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় ৩০০-র গণ্ডি টপকাতে পারেনি ভবানীপুর। অধিনায়ক সন্দীপন দাস, প্রদীপ্ত প্রামাণিকের মতো বাংলা দলে খেলা ক্রিকেটাররা এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ। মোহনবাগানের হয়ে জেসাল কারিয়া সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি উইকেট পান সৌরভ মণ্ডল। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন রাজকুমার পাল, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় এবং সায়ন ঘোষ।
তারকা খচিত বাগানের শুরুটা অবশ্য বিশেষ ভালো হয়নি। মুকেশ কুমারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন বিবেক সিং। তবে অভিজ্ঞ সুদীপ চ্যাটার্জিকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন অভিমন্যু। সুদীপ (৪০) ফেরার পর অভিমন্যুকে সঙ্গ দেন অনুষ্টুপ মজুমদার। এই জুটিই দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যায়। ৬২ রান করে আউট হন অনুষ্টুপ। এরপর জয়জ্যোতি বসু (৩) দ্রুত ফিরলেও, ঋত্বিক চ্যাটার্জিকে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অভিমন্যু। ঋত্বিক অপরাজিত থাকেন ১০ রানে। অন্যদিকে, মাত্র ১৪৪ বলে ১৬৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ঈশ্বরণ। দুটি ছক্কার পাশাপাশি ১৫টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি। ১৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে মোহনবাগান।
ভবানীপুরের হয়ে মুকেশ কুমার দুটি এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিক ও অভিষেক রামন একটি করে উইকেট পান। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ।