৭ উইকেটে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্করাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে হারের রেশ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াল রোহিত অ্যান্ড কোং। এদিকে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জিতে মুম্বইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল সঞ্জু স্যামসনের দল। ভালো শুরু করেও শেষে মুখ থুবড়ে পড়ল রয়্যালস।
বৃহস্পতিবার টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। দুই ওপেনার জস বাটলার এবং জসহাসভি জসওয়াল শুরুটা দারুণ করেন। ওপেনিং জুটিতে ৬৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। ৩২ বলে ৪১ রান করে আউট হন বাটলার। জসওয়ালের অবদান ২০ বলে ৩২ রান। দুই ওপেনারই রাহুল চাহারের স্পিনে ধরাশায়ী হন।
এরপর সঞ্জু স্যামসন এবং শিবম দুবে টাানতে থাকেন দলকে। ৩১ বলে ৩৫ রান করে আউট হন দুবে। মাত্র ২৭ বল খেলে ৪২ রান করেন অধিনায়ক সঞ্জু। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের দাপটে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস। মুম্বইয়ের হয়ে চাহার দুটি এবং ট্রেন্ট বোল্ট ও জসপ্রীত বুমরা একটি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে রোহিত এবং সূর্যকুমার যাদবকে দ্রুত ফিরিয়ে বোলিংয়ের শুরুটাও মন্দ করেনি রাজস্থান। ক্রিস মরিসের বলে ফেরার আগে ১৭ বলে ১৪ রান করেন রোহিত। স্কাইও মরিসের শিকার। তিনি করেন ১০ বলে ১৬ রান।
তবে অপর ওপেনার কুইন্টন ডি কক এদিন ছিলেন নিজস্ব মেজাজে। চার নম্বরে নেমে তাঁকে সঙ্গ দেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। মূলত এই বাঁহাতির দাপটে ম্যাচ নাগালের বাইরে চলে যায় রাজস্থানের। ২৬ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন ক্রুনাল। এরপর কায়রন পোলার্ডকে সঙ্গে নিয়ে নয় বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ডি কক। ৫০ বলে অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস উপহার দেন প্রোটিয়া উইকেটকিপার। ৮ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন পোলার্ড। রয়্যালসের হয়ে মরিস দুটি এবং মুস্তাফিজুর রহমান একটি উইকেট নেন।
লিগে হাফডজন ম্যাচ শেষে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছে রাজস্থান। তালিকায় তাদের স্থান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উপরে সাত নম্বরে। অন্যদিকে, এই নিয়ে চলতি প্রতিযোগিতায় ছয় ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয়ের মুখ দেখল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।