বিদেশের মাটিতে সাফল্যের টোটকা।
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কবিদেশের মাটিতে প্রত্যেক সেশন ধরে খেলতে পারলে সাফল্য আসতে বাধ্য। এমনটাই মত শুভমন গিলের। ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। তার আগে ভারতের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ও আইপিএল-এ ভাল ছন্দে না থাকলেও আত্মবিশ্বাসী গিল।
অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজের সাফল্যই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কাজে দেবে বলে মনে করেন ভারতের এই ওপেনার। তিনি বলেন, 'আমরা দারুণ খেলেছি অস্ট্রেলিয়াতে। ওপেনার হিসেবে আমার মনে হয়, প্রতিটা সেশনে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করলে সাফল্য আসবে। শুধু ইংল্যান্ড বলে নয় বিদেশের মাটিতে সবসময়ই এই চেষ্টা করে যেতে হবে। ইংল্যান্ডে আকাশ মেঘলা থাকলে বল ভাল সুইং করে। মেঘ কেটে গেলে ব্যাট করতে সুবিধা হয়। ওপেনার হিসেবে তাই সঠিক হাবে পর্যবেক্ষণ করা খুব জরুরি।'
গিল আরও বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সাফল্য আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। বেশ কয়েক বছর ধরেই আমরা ভাল খেলছি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে এর থেকে ভাল প্রস্তুতি আর হতে পারে না।’ আইপিএল-এ বিশ্বের সেরা বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতে পারা তাঁকে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন গিল। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সেরা বোলাদের বল নেটে দীর্ঘ সময় খেললে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কেকেআর দলে এ মরসুমে লকি ফার্গুসন ও প্যাট কামিন্সের মত বোলারদের নেটে খেলতে পারায় সুবিধা হয়েছে।’
একই সঙ্গে বিরাট এবং রোহিতেরও প্রশংসা করেছেন ২১ বছরের উঠতি ক্রিকেটার। তিনি বলেছেন, ‘যখনই বিরাট ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি, তখনই ও আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। এবং আমাদের সব সময়ই বলে থাকে, একজন তরুণ ক্রিকেটার হলেও আমরা ভয়ডরহীন এবং স্বাধীন ভাবে খেলতে পারি। বেশির ভাগ সময়েই আমাদের মাইন্ডসেট নিয়েই আলোচনা হয়। যখনই আমার মনে হয়, আমি মানসিক ভাবে ঠিকঠাক নেই, তখনই ওর সঙ্গেই কথা বলি। সব সময়ে ও আমাকে অনুপ্রাণিত করে। এবং আমার সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়। আমি যখন রোহিত ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাট করি তখনই আমরা আলোচনা করি, বোলার ঠিক কোথায় বল ফেলতে পারে, কী ভাবে আমাদের আউট করতে চাইছে, পরিস্থিতি কী হতে চলেছে, আমাদের কোনও ঝুঁকি নেওয়া উচিত কিনা, বা যদি আমরা সেট হয়ে যাই, তবে কী ভাবে আক্রমণের চেষ্টা করা উচিত, এই সব নিয়েই। আমাকে গাইড করে দেয় রোহিত ভাই।'
এখনও পর্যন্ত দেশের জার্সিতে শুভমন যে ক'টি ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন, সবগুলিই বিরাটের অধিনায়কত্বেই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলেছেন। এবং নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধ তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন।