তিন উইকেট দূরে অনিল কুম্বলে
সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়আর মাত্র ৫ উইকেট পেলেই জিমি অ্যান্ডারসন প্রথম শ্রেণির খেলায় ২১৬ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ উইকেট পাওয়া খেলোয়াড় হবেন। এদিকে ৪ উইকেট পেলেই তিনি অনিল কুম্বলে কে টপকে তৃতীয় স্থান গ্রহণ করবেন টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায়।
এখানেই সন্দেহ দেখা দিচ্ছে তিনিই কি শেষ?
কারণগুলো একটু খতিয়ে দেখা যাক। এখনও অবধি প্রথম শ্রেণির সর্বোচ্চ উইকেট উইলফ্রেড রোডস (১১১০ ম্যাচে ৪২০৪ উইকেট) যাঁর পাশে অ্যান্ডারসন নেহাতই বামন (২৬০ ম্যাচে ৯৯৪।
বর্তমান সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেট বেড়ে গিয়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ সংখ্যা কমে গিয়েছে। এই শতকে ১৩ জন ক্রিকেটার ১০০০ উইকেট পেয়েছেন। যার মধ্যে ৪ জন ফাস্ট বোলার। বোঝাই যাচ্ছে অ্যান্ডারসনের কাজটা এত সহজ নয়, এবং তিনিই প্রথম ক্রিকেটার হতে চলেছেন যিনি কেরিয়ারও এই শতকেই শুরু করেন (২০০২)।
রোডসের রেকর্ড ভাঙবে না। না উইকেটের না ম্যাচ খেলার। কারণ যে ১৩৮ জন ক্রিকেটার ৫০০ বা তার বেশি ম্যাচ খেলেছেন তার মধ্যে ৪০% শেষ করেছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং গ্রেম হিক ও গ্রাহাম গুচ ছাড়া কেউ এই শতাব্দীতে খেলেননি।
এই মুহুর্তে অবশ্য কেন্টের অলরাউন্ডার ডারেন স্টিভেন্সই সবথেকে বয়স্ক ক্রিকেটার (৪৫ বছর বয়স, এটি তাঁর ২৪ তম মরশুম) কিন্তু ৩১৫ ম্যাচ খেলে অনেক পিছিয়ে আছেন ৫০০ ম্যাচ খেলার দিক থেকে।
মূলত: ১৯৬০ সালের পর থেকে ৩২ টা করে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কেউই পাননি। এখন তো ১৪টার বেশি ম্যাচ খেলা হয়না (গতবার আরও কম ছিল; এবার কিছুটা বাড়বে)। তা ছাড়া, অ্যান্ডারসন তাঁর কেরিয়ারে একবারই গোটা মরশুমে ৩০০০ বল করেছিলেন (সেই ২০০৫ সালে যেবার উনি ৬০ উইকেট পান)। যেখানে রোডস গড়ে প্রতি মরশুমে ১৩০ উইকেট নিয়েছিলেন , আর গোটা কেরিয়ারে একবারই ৩০০০ বল করার সুযোগ পাননি।
একদিনের ও ২০-২০ ওভারের ম্যাচ বেশি খেলা হওয়ার ফলেই প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কমে গেছে।
এন্ডারসন ছাড়াও স্টুয়ার্ট ব্রড ৮৩০টি উইকেট নিয়েছেন, টিম মুর্তাঘ ৮৬৭ উইকেট পেয়েছেন আর সিডল ৬৫১ উইকেট নিয়েছেন। ফলে স্পিনার ছাড়া আগামী দিনে কারও ১০০০ উইকেটের সম্ভবনা খুবই কম। দিলরুয়ান পেরেরা ৮০৮ উইকেট নিয়ে খুব নিকটে আছেন।
উল্লেখ করা যায় যে চারজন ফাস্ট বোলার এই শতকে ১০০০ এর গন্ডি পেরিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ক্যাডিক (১১৮০ উইকেট) ছাড়া বিকনেল (১০৬১), ম্যালকম (১০৫৪) ও আক্রম(১০৪২) অ্যান্ডারসনের ধরাছোঁয়ার মধ্যেই আছেন।