নাসুমের স্পিনে কুপোকাত ক্যাঙারুরা
বিপ্রতীপ দাস, ঢাকাটি-২০ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আগের চার ম্যাচের সবকটিতেই হার। তার উপর মীরপুরের চেনা উইকেটেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পুঁজি মোটে ১৩১! এই নিয়ে কি শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চোখে চোখ রাখা যায়? কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে স্পিন-অস্ত্রেই অজিদের বধ করল বাংলাদেশ। যার নেপথ্যে থাকল নাসুম আহমেদের (৪/১৯) দুর্দান্ত বোলিং। যার জেরে ১০৮ রানেই গুটিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার যাবতীয় প্রতিরোধ। ২৩ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল মাহমুদউল্লার দল।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ওপেনার সৌম্য সরকারের (২) খুঁড়িয়ে চলার পথে ইতি টানেন জশ হ্যাজেলউড। এরপরে অভিজ্ঞ শাকিব আল হাসান (৩৬) এবং মহম্মদ নঈম (৩০) দলকে কিছুটা স্বস্তিদায়ক জায়গায় পৌঁছে দেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষদিকে তরুণ তুর্কি আফিফ হোসেন মূল্যবান ২৩ রান করে দলকে ১৩০-এর গণ্ডি পার করে দেন। ২৪ রানে তিন উইকেট নেন হ্যাজলউড।
ক্যারিবিয়ান সফরে একপেশেভাবে টি-২০ সিরিজ হারায় অস্ট্রেলিয়ার মনোবলে কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। তাকে কাজে লাগিয়ে অজিদের শুরু থেকেই চেপে ধরে বাংলাদেশের স্পিনাররা। ইনিংসের প্রথম বলেই মেহেদি হাসানের সোজা বলে বোকা বনে যান অ্যালেক্স ক্যারি। জশ ফিলিপ (১), মোজেস এনরিকেরাও (৯) দাগ কাটতে পারেননি স্পিনারদের বিরুদ্ধে। তবে একপ্রান্ত আগলে অতিথিদের জয়ের স্বপ্ন জিইয়ে রাখেন মিচেল মার্শ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৫ রানে তাঁর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই বেজে যায় জাস্টিন ল্যাঙ্গারের দলের হারের ঘণ্টা। ১০৮ রানেই মুড়িয়ে যায় ম্যাথু ওয়েড অ্যান্ড কোং।
ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লা জানান, “প্রথম ইনিংস শেষে টিম মিটিংয়ে আমরা বলাবলি করি যে আমরা ১০ রান কম করেছি। আর সেই কারণেই আমাদের ফিল্ডিং এবং বোলিংয়ে বাড়তি জোর দিতে হবে। বড় দলের বিপক্ষে খেললে এখন আমাদের জয়ের খিদে বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা আজ জিতেছি, এই বীরত্বকাব্য এখানেই শেষ। আমাদের নজর এখন পরের ম্যাচের দিকে। প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোতে চাই আমরা।“ অন্যদিকে, ম্যাথু ওয়েড মেনে নিয়েছেন যে বাংলাদেশের স্পিনের জাল কেটে বেরোতে ব্যর্থ হয়েছে তাঁর দল।