ঢাকায় খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে টি-২০ বিশ্বকাপে, মত অজি অলরাউন্ডারের
বিপ্রতীপ দাস, ঢাকাএশিয়ায় এসে বাইরের দেশগুলোকে বরাবরই ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঢাকায় অস্ট্রেলিয়াকেও সেই একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। টানা দুই ম্যাচ হেরে ইতিমধ্যেই ব্যাকফুটে চলে গেছে ম্যাথু ওয়েডের দল। বাংলাদেশের অনভ্যস্ত উইকেটে রীতিমতো ঘোল খেতে হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তি অস্ট্রেলিয়াকে। তারা অকপটেই মেনে নিয়েছে, দেশের বাইরে বাংলাদেশকেই কঠিন ভেন্যু মনেনহচ্ছে তাদের।
অভিজ্ঞ ওয়ার্নার-স্মিথ নেই। অজি দলটা বলতে গেলে একেবারেই তরুণ। তারুণ্যকে পুঁজি করে আরবের টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে বাংলাদেশে এসেছে তারা। কিন্তু, এখন পর্যন্ত দুইয়ে দুইয়ে চার করতে পারেনি দলটি। কার্যত ব্যাটিংই ডোবাচ্ছে ক্যাঙারুদের। তবে এমন কঠিন ও তিক্ত অভিজ্ঞতাকে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের আগে উপযুক্ত শিক্ষা বলেও মানছে ল্যাঙ্গারের দল।
অজি অলরাউন্ডার মোজেস এনরিকের মতে, দুবাইয়ে এমন কঠিন উইকেটে খেলতে হবে না তাঁদের। কিন্তু তিনি এটাও জানান, এমন পরিবেশে নতুনরা অনেক কিছু শিখবে যেটা তাদের আগামী দিনের পথকে মসৃণ করবে।
এনরিকের কথায়, 'আমাদের দলটা তারুণ্যে ঠাসা। তারা যদি এই প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারে তবে ভবিষ্যতে দেশের বাইরে পারফর্ম করতে আর তাদেরকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না।'
ভারত এবং আবু ধাবিতে এর আগে আইপিএল খেলেছেন এনরিকে। কিন্তু সেখানে খেলাটা এতটা দুরূহ ছিল না। তাই তো তিনি অস্ট্রেলিয়ার বাইরে বাংলাদেশকেই সবচেয়ে কঠিন ভেন্যু বলে উল্লেখ করেছেন। বলছেন, 'আমি আইপিএলে ৬০টির বেশি ম্যাচ খেলেছি। কিন্তু এখানকার পিচ একেবারেই অচেনা মনে হচ্ছে। দেশের বাইরে এতটা কঠিন কন্ডিশন আর হতে পারে না। তবে এটা আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছে, ঘাটতিগুলোও চোখে পড়েছে। তাই অতি দ্রুতই আমরা এই রূঢ় কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিয়ে নিজেদেরকে মেলে ধরতে চাই।'
নিজেদের নিরামিষ পারফরমেন্সের হেতু খোঁজার পাশাপাশি বাংলাদেশের দূর্দান্ত খেলারও প্রশংসা করেন অজি অলরাউন্ডার। মাহমুদউল্লারা তাঁদের পিছনে ফেলেই এমন সাফল্য পেয়েছেন বলে মত এনরিকের। জানান, 'সত্যি বলতে আমার মনে হয়েছে ওরা আমাদের চেয়েও পারদর্শী। তাদের ক্রিকেটীয় জ্ঞান আমাদের চেয়ে বোধহয় ভালো ছিল। এর কারণ হতে পারে এমন উইকেটে তারা আমাদের চেয়ে বেশি খেলে।'