বাংলাদেশে ৩ : অস্ট্রেলিয়া ০
বিপ্রতীপ দাস, ঢাকাসফররত অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। ক্রিকেট ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের এটাই প্রথম কোনও সিরিজ জয়। শুক্রবার সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ১০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১১৭ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ১২৮ রানে জয়ের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার লড়াই গড়ায় শেষ ওভার পর্যন্ত।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২২ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বল তুলে দেন মেহেদি হাসানের হাতে। মেহেদির প্রথম বলে অবশ্য ভয় ধরিয়ে দেন অ্যালেক্স কেরি। প্রথম বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন তিনি। পরের বলে নেন ১ রান। তৃতীয় বলে কোন রান নিতে দেননি মেহেদি। তবে পরের বলটি নো করে বসেন মেহেদি। আবারও ম্যাচ জমে ওঠে।
নো বল থেকে ১ রান নিয়ে শেষ দুই বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১২ রান। পরের বল আবারও ডট এবং শেষ বলে ১ রান নিতে পারে অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ, শেষ ওভার থেকে অস্ট্রেলিয়া ১১ রান নিলে ১০ রানে ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল অসিরা। ওপেনার ও অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড ফিরে ১ রানে। নাসুম আহমেদকে পুল করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে শরিফুল ইসলামের হাতে তালুবন্দি হন তিনি।
শুরুতে উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েন ম্যাকডরমট এবং শন মার্শ। দেখে শুনে ব্যাট চালিয়ে দলকে এগিয়ে নেন তারা। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ভাঙে তাঁদের জুটি। ৪১ বলে ৩৫ রান করা ম্যাকডরমটকে বোল্ড করেন শাকিব।
পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। শরিফুলের প্রথম বলটি লেগ সাইডে তুলতে গিয়ে মিড অনে শামিম পাটোয়ারীর হাতে তালুবন্দি হন ময়েজেস হেনড্রিকস (২)। অল্প সময়ে দুই উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওপর রানের চাপ বেড়ে যায়। শেষ তিন ওভারে দরকার পরে ৩৪ রান।
১৮তম ওভারে নঈম শেখের বলে ক্যাচ আউট হোন মার্শ (৪৭ বলে ৫১)। এরপরই অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে অসিরা। পরের কাজটুকু সারেন মোস্তাফিজ। দুর্দান্ত এক ওভারে অস্ট্রেলিয়ার হার রচনা করেন তিনি। ফলে জয়ের জন্য শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন পড়ে ২২ রান।
এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল পঞ্চাশ রানের ইনিংসে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। ৫৩ বলে চারটি চার-সহ ৫২ রান করেন টাইগারদের অধিনায়ক।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে হ্যাটট্রিক গড়ার নজির গড়েন নাথান এলিস। বল হাতে শেষ ওভারে শেষ তিন বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজ এবং মেহেদী হাসানের উইকেট তুলে নিয়ে এ রেকর্ড গড়েন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে এটাই প্রথম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড।