শেষ দিনে রুটদের চাই ২৯১ রান
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কচতুর্থ ইনিংসে ৩৬৮ রান কোনওদিনই সহজ লক্ষ্য নয়। কিন্তু ওভালের নির্বিষ ২২ গজে সেই লক্ষ্যকে খুব একটা কঠিন দেখাচ্ছে না। যার নেপথ্যে ভারতীয় বোলিং, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অবশ্যই ইংল্যান্ডের ওপেনাররা। যাঁরা বিনা উইকেটে ৭৭ রান তুলে জো রুট অ্যান্ড কোংকে রীতিমতো শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন।
রবিবার তিন উইকেটে ২৭০ রান নিয়ে খেলা শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই স্কোর হয়ে গিয়েছিল ৩২১/৬। আক্রমণে এসেই রবীন্দ্র জাদেজাকে (১৭) ফিরিয়ে দেন ক্রিস ওকস। সেই ওভারেই এলবিডব্লু হয়ে গিয়েছিলেন অজিঙ্ক রাহানেও। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সেই স্বস্তি। ওকসের পরের ওভারেই যেরকম জঘন্য শট বাছাইয়ের খেসারত দিয়ে ভারতীয় সহ-অধিনায়ক আউট হলেন তাতে পরের টেস্টে তাঁর দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে সংশয় থাকছে। জেমস অ্যান্ডারসন ছাড়া ইংল্যান্ডের যে বোলার বরাবর কোহলির নেমেসিস হয়ে থেকেছেন সেই মইন আলিকেই উইকেট দিয়ে এলেন বিরাট (৪৪)। লিড তখন ২১৩ রানের। উইকেটে বল থমকে ব্যাটে আসছে। এই পরিস্থিতিতে আড়াইশোর লিডই কঠিন মনে হচ্ছিল। কিন্তু অন্যরকম ভেবেছিলেন শার্দূল ঠাকুর। পাল্টা আক্রমণের নীতিতে লড়াইটা নিয়ে গিয়েছিলেন বিপক্ষ শিবিরে। দুর্দান্ত সঙ্গ দিচ্ছিলেন ঋষভ পন্থও। সপ্তম উইকেটে যে ১০০ রান দু’জনে যোগ করলেন সেই রানই লড়াই করার মতো জমি তৈরি করে দিল টিম ইন্ডিয়ার সামনে। প্রথম ইনংসে ৫৭ রানের দুরন্ত ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নজরকাড়া ৬০ রান করে গেলেন শার্দূল। স্বভাববিরুদ্ধভাবে রক্ষণাত্মক ছিলেন পন্থ। কিন্তু রানের খরা কাটিয়ে অর্ধশতরান করে নিয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু চার বলের ব্যবধানে শার্দূল ও পথ ফিরতেই ফের সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল ভারত। লিড তখন ৩১৩ রানের। এরপরেও যে ৫৫ রান যোগ হল তার পিছনে উমেশ যাদব (২৫) ও জসপ্রীত বুমরা। চলতি সিরিজে এই নিয়ে তৃতীয়বার ব্যাট হাতে কার্যকরী হয়ে উঠলেন বুমরা।
তবে শেষ সেশনে নতুন বল হাতে সেভাবে কার্যকরী হতে পারেননি বুমরা বা উমেশ। সারাদিনের রোদে শুকিয়ে গিয়েছিল পিচ। ফলে শেষবেলায় মন্থর হয়ে যাওয়া ২২ গজে পেসারদের জন্য আর কোনও রসদই মজুত ছিল না। পাটা উইকেটের সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েই হেলায় রান তুলে গেলেন রোরি বার্নস (৩১ ব্যাটিং) এবং হাসিব হামিদ (৪৩ ব্যাটিং)। ৩২ ওভারের মধ্যে ২২ ওভারই করলেন পেসাররা। কিন্তু ব্রিটিশ ওপেনারদের বেগ দেওয়ার মতো লাইন বা লেংথ আবিষ্কার করতে পারেননি বুমরা, উমেশ, সিরাজরা। তবে পিচে যেভাবে বল ঘুরছে তাতে শেষ দিন ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু উল্টোদিক থেকে তাঁকে সাহায্য করবেন কে? ঠিক এই জায়গায়ই প্রকট হয়ে উঠতে চলেছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অনুপস্থিতি। সাম্প্রতিক অতীতে এরকম পিচে যিনি বারবার রিভার্স সুইং আদায় করে নিয়েছেন সেই মহম্মদ শামিও দলে নেই। আর সেই জায়গা কাজে লাগিয়েই শেষ দিন ২৯১ তুলে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার ছক কষছেন রুটরা।