আর্থিক এবং চুক্তিগত কারণে মুখ বন্ধ রাখছে একাধিক বোর্ড
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কঅনেকদিন আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল আই সি সি-র ‘ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম’। কিন্তু করোনা আতঙ্কে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিতে হয়েছে একাধিক সিরিজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কাছে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হাজির হয়েছে আই পি এল। ৫১ দিনব্যাপী কোটিপতি লিগের দাপটে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে অন্তত পাঁচটি সিরিজ।
কয়েকদিন আগেই প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক ক্ষমতার কারণেই তাদের চটাতে সাহস পাচ্ছে না অন্যান্য বোর্ডগুলি। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো আর্থিক সমস্যায় থাকা বোর্ডগুলির ক্ষেত্রে সেটা অনেকটাই সত্যি। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সি ই ও জনি গ্রেভ যেমন স্পষ্টতই বলছেন, “আই পি এল চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমরা টেস্ট সিরিজ খেলতে পারব না। এই বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও কথা হয়েছে আমাদের। চুক্তিগত কারণেও ওরা ক্রিকেটারদের আই পি এলে খেলতে দিতে বাধ্য।“
প্রসঙ্গত, অন্যান্য বছরের মতোই এবারের আই পি এলেও ১২৫ জন ভারতীয় ক্রিকেটারের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন একগুচ্ছ বিদেশি খেলোয়াড়। এর মধ্যে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ১৭ জন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১১ জন, ইংল্যান্ডের ১১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকার ১০ জন, নিউজিল্যান্ডের ছ’জন, আফগানিস্তানের তিনজন, শ্রীলঙ্কার দু’জন এবং নেপালের একজন ক্রিকেটার।
করোনা আতঙ্কে এমনিতেই স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না দর্শকদের। এর মধ্যে প্রথম সারির খেলোয়াড়রা নিজেদের সরিয়ে নিলে একেবারেই তলানিতে গিয়ে ঠেকবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আকর্ষণ।
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসাবে অক্টোবরে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দু’টি টি-২০ সিরিজ খেলার কথা ছিল অজিদের। দুই সিরিজই এখন বিশ বাঁও জলে। একই সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটার আই পি এলে সুযোগ না পেলেও প্রথম সারির কিউই ক্রিকেটারদের না থাকা সমস্যায় ফেলতে পারে সিরিজকে। এছাড়া, অক্টোবরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় একদিনের সিরিজ এবং টি-২০ সিরিজ খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের। সেখানেও একই সমস্যা। রাজনৈতিক কারণে পাক খেলোয়াড়রা আই পি এলে সুযোগ পাননি। কিন্তু আই পি এলের জন্য পাওয়া যাবে ১০ জন প্রথম সারির প্রোটিয়া ক্রিকেটারকে।
করোনা আবহে একগুচ্ছ সিরিজ পিছিয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে একাধিক ক্রিকেট বোর্ড। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ক্রিকেটারদের আই পি এলে খেলতে দিয়ে সে ক্ষতি কিছুটা পূরণ করে নিতে চাইছে তারা।