জন্মদিনে বর্ণবৈষম্যকে বিঁধলেন প্রোটিয়াদের পোস্টার বয়; অভিনন্দন জানালেন শচীন
সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়মধ্য-নব্বই দশকের এমন কোনও কিশোর-এর ঘর বা ক্লাব ঘর কমই পাওয়া যাবে যেখানে ১৯৯২ এর বিশ্বকাপে ইনজামাম উল হক কে রান আউট করার সেই ছবিটা আটকানো ছিল না। এমন পাড়া কলকাতা ও তার মফঃস্বলে কম পাওয়া যেত যেখানে কম করে একজন ছেলের নাম জন্টি ছিল না। কিন্তু যাঁকে নিয়ে এত মাতামাতি জন্টি রোডস নিজে অত্যন্ত অকপট হয়ে উঠেছিলেন মাত্র ৮/৯ মাস আগে। মুম্বই শহরে একটি অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে বলে বসেন, শ্বেতাঙ্গ হওয়ার সবরকম সুবিধা তিনি পেয়েছিলেন। ৫২ টি টেস্ট ও ২৪৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা পৃথিবীর সর্বকালের সেরা ফিল্ডারদের একজন জোনাথন ওরফে জন্টি বলেন যখন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা দলে সুযোগ পান তখন তিনি একজন মাঝারি মানের ক্রিকেটার ছিলেন। কেবলমাত্র শ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড়দের মধ্যে দল বাছাই হয়েছিল বলেই তিনি সুযোগ পান , অন্যথা কোনও ভাবেই তাঁর সুযোগ হতো না যদি সেই সময়কার অশ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটারদেরও সমান সুযোগ দেওয়া হতো।
১৯৮৭/৮৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা স্কুল দলের হয়ে খেলা শুরু করলেও ওই মরশুমে ৪ ম্যাচে মাত্র ৭১ রান করেন তিনি। কিন্তু কোকা-কোলা নাটফিল্ড উইকে পরপর দুই ম্যাচে শতরান করে আবার স্কুল দলে সুযোগ পান। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অভিষেকেই শতরান হাঁকান (১০৮) জন্টি। কিন্তু ১৯৯২/৯৩ সালে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেকের আগে ৩টি শতরান ও ১০টি অর্ধ-শতরান সহ তিনি ৩৪ ম্যাচে ১৭০০-র কিছু বেশি রান করেছিলেন ৩৫-এর কম গড়ে। এমনকি ১৯৯১/৯২ সালের বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার আগের ২৮ গড়ে ৯২৪ রান করেন ৪৫ টি ঘরোয়া একদিনের ম্যাচে (৮-৫০)। মজার ব্যাপার কোনও ধরণের খেলা তেই ২০ খানা ক্যাচও ছিল না।
আজ প্রায় তিন দশক পরে অকপট রোডস তুলে ধরেছেন এই ঘটনা এমন এক সময় যখন শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ সমস্যা নতুন আকার নিচ্ছে।
পুরোন বন্ধু ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সহকর্মীকে টুইটারে জন্মদিলেন্র অভিনন্দন জানিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকর।