মাহির ক্রিকেট-বুদ্ধির প্রশংসায় টফেলও
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনি। ২০০৩ এবং ২০০৭ বিশ্বকাপে তাঁর নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তার পরেও শাহিদ আফ্রিদির বিচারে সেরা অধিনায়কের ভোট পাচ্ছেন না রিকি পন্টিং। অধিনাক হিসাবে পন্টিং-এর চেয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনিকেই বেশি নম্বর দিচ্ছেন আফ্রিদি। প্রাক্তন পাক অধিনায়কের কথায়, “অধিনায়কত্বের দিক থেকে পন্টিং-এর চেয়ে সামান্য এগিয়ে রাখব ধোনিকে। কারণ, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে একটা সম্পূর্ণ নতুন দল তৈরি করেছিল ও।“
প্রসঙ্গত, ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র অধিনায়ক হিসাবে সবক’টি আই সি সি প্রতিযোগিতা (বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং টি-২০ বিশ্বকাপ) জিতেছেন ধোনি। তাঁর নেতৃত্বেই টেস্টে বিশ্বর্যাঙ্কিং-এ শীর্ষ পৌঁছেছিল টিম ইন্ডিয়া। যদিও পরিসংখ্যান এগিয়ে রাখছে পন্টিংকে। সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে মোট ৩২৪ টি ম্যাচে অজিদের নেতৃত্ব দিয়েছেন পান্টার। যার মধ্যা জিতেছেন ২২০ টি-তে। হার ৭৭ টিতে। বাকি ম্যাচগুলির মধ্যে দু’টি টাই এবং ১৩ টি ড্র। সেখানে ধোনি ৩৩২ টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন ১৭৮টিতে। হেরেছেন ১২০ টিতে। ছ’টি ম্যাচ টাই এবং ১৫ টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সাফল্যের শতকরা হিসাবে ধোনিকে (৫৩.৬১) পিছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলিও (৬৪.৬৪)।
শুধু ওয়াগার ওপার থেকেই নয়, মাহির প্রশংসা ভেসে এসেছে প্রশান্ত মহাসাগরের ওপার থেকেও। অস্ট্রেলিয়ার প্রক্তন আম্পায়ার সাইমন টফেল বলছেন, “ধোনির মতো বুদ্ধিমান ক্রিকেটার আমি দেখিনি। ওর কৌশলগত ভাবনা দুর্দান্ত। ক্রিকেট-মস্তিষ্কও অসাধারণ। কোনও অবস্থাতেই মেজাজ হারায় না।“ নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ২০১১ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের একটি ঘটনার কথা তুলে এনেছেন টফেল। তাঁর কথায়, “কেপটাউন টেস্টে মন্থর ওভার রেটের জন্য ম্যাচ ফি-র ৬০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল ধোনিকে। কারণ, ওই টেস্টে এক-একটি ওভার বল করতে ৭-৮ মিনিট সময় নিচ্ছিল শ্রীসন্থ। আম্পায়ারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে বসেছিল ধোনি। আমরা বলেছিলাম, ডারবান টেস্টেও যদি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে কিছুদিন ছুটি পেয়ে যাবে ও। কারণ আই সি সি-র নিয়ম অনুযায়ী, সেক্ষেত্রে নির্বাসনের খাঁড়া ঝুলত ধোনির উপর। ধোনি বলেছিল, সে ঠিক আছে। আমার ছুটি দরকার। একটা ম্যাচ থেকে বিশ্রাম নেব ভাবছি। কিন্তু শ্রী এই ম্যাচে খেলছে না। তাই চিন্তা কোরো না।“
উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা পাঁচবার আই সি সি-র বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পেয়েছিলেন টফেল।