দু’সপ্তাহে চারবার কোভিড পরীক্ষা খেলোয়াড়দের
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কমাঠে ঢুকতে পারবেন না কোনও দর্শক। ধারাভাষ্যকারদের মধ্যেও ন্যূনতম ছ’ফুট ব্যবধান রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ডাগ-আউটে থাকা সাপোর্ট স্টাফদের সংক্যা। এমনকী, ড্রেসিংরুমেও একসঙ্গে ১৫ জনের বেশি থাকতে পারবেন না। আই পি এলে খেলা ক্রিকেটারদের বায়ো-সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এমনই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করছে বি সি সি আই। যার পোশাকি নাম ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এস ও পি)। জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতা শুরুর দু’সপ্তাহ আগেই চারবার কোভিড পরীক্ষা করা হবে ক্রিকেটারদের। এর মধ্যে দু’টি হবে ভারতে, দু’টি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পৌঁছনোর পর।
এক বোর্ডকর্তার কথায়, “একবার এই সুরক্ষা বেষ্টনীতে (বায়ো বাবল) ঢুকে পড়লে কেউ আর তা থেকে বেরোতে পারবেন না। এমনকী, টিম বাস যাঁরা চালাবেন সেই চালকরাও থাকবেন এই বায়ো বাবলে।“ ফলে, এবার একইসঙ্গে আরব মুলুকে রওনা দিতে হবে সব ক্রিকেটারদের, যাতে শুরু থেকেই তাঁদের বায়ো বাবলে রাখা যায়। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র ক্রিকেটাররাই নন, তাঁদের বান্ধবী, স্ত্রী এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের জন্যও লাগু হবে একই নিয়ম।
যে সংস্থা হোটেল এবং ড্রেসিংরুমে খাবার সরবরাহ করবে, কোভিড টেস্ট নেগেটিভ এলে তবেই তাদের কাজের বরাত দেওয়া হবে। ম্যাচ পরিচালকদের হাতেও তুলে দেওয়া হবে এস ও পি।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অবশ্য করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। বুধবার সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭৫ জন, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম। কিন্তু বি সি সি আই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ।
এদিকে, দেওয়ালির কথা মাথায় রেখে আই পি এলের ফাইনাল ৮ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বরে পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে দুবাই থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিমানে উঠে পড়তে হবে কোহলিদের। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।