প্রযুক্তির ভুলের শিকার মিচেল, ইডেন পার্কে #মিটু লেখা ব্যানার
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড ডেস্কঅকল্যান্ডে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারাল ভারত। কিন্তু সিরিজে সমতা ফেরানোর দিনেই দানা বাঁধল বিতর্ক। নেপথ্যে ডি আর এস-এর সাহায্য নিয়েও কিউই ব্যাটসম্যান ড্যারিল মিচেলের আউট হওয়া।
ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে। পাওয়ার প্লে-র শেষ বল। আক্রমণে ক্রুনাল পাণ্ড্য। বল ব্যাটসম্যানের প্যাডে লাগতেই এলবিডবলু-র জন্য জোরালো আবেদন করেন ক্রুনাল। আবেদনে সারা দেন আম্পায়ার। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ডি আর এস-এর জন্য আবেদন জানান মিচেল। ‘হট স্পট’ প্রযুক্তিতে দেখা যায় যে বল মিচেলের ব্যাটে লেগেছিল। কিন্তু ‘স্নিকোমিটারে’ বল ব্যাটে লাগার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। উপরন্তু ‘হক আই’ প্রযুক্তিতেতেও দেখা যায় যে বল উইকেটেই লাগছিল। এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন জানান। আউট ঘোষণা করা হয় মিচেলকে। যা নিয়ে স্পষ্টতই বিরক্তি প্রকাশ করেন মিচেল। মাঠে প্রতিক্রিয়া দেখান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। যিনি ক্রিকেটের আঙিনায় ভদ্রলোক বলেই পরিচিত।
কিন্তু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ডি আর এস প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত প্রযুক্তি নিয়ে। বল ব্যাটে লেগে থাকলে তা উট স্পট এবং স্নিকোমিটার – দু’টি প্রযুক্তিতেই ধরা পড়ার কথা। এক্ষেত্রে কেন কেন একটি প্রযুক্তিতে তা ধরা পড়ল এবং অন্য প্রযুক্তিতে পড়ল না, তা নিয়ে ধাঁধায় আই সি সি-রই একাংশ।
ম্যাচের পর এই প্রসঙ্গে নিউজিল্যান্ড শিবিরের ইশ সোধি বলেছেন, “ব্যাপারটা অবাক করার মতোই। আমরা বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছিল। হটস্পটে কী ধরা পড়েছে সেটা বেশিরভাগ লোকই দেখেছে। আমরা হতাশ। কারণ, এটা মিচেলের সবে দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এরকম ঘটনা আগে দেখিনি।“ অন্যদিকে ‘ম্যান ইন ব্লু’-এর তরফে মহম্মদ খলিল বলছেন, “আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমাদের কিছু করণীয় নেই। তাই আমরা অপেক্ষা করছিলেম। আম্পাইয়ার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই আমরা মেনে নিয়েছি।“
এখানেই বিতর্কের শেষ নয়। ইডেন পার্কে এদিন দেখা গিয়েছে #মিটু লেখা ব্যানার। যা যৌন হেনস্থার শিকার বোঝাতে ব্যহার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দর্শকদের ওই অংশের মূল লক্ষ্য ছিলেন নিউজিল্যান্ডেরই স্কট কুগালেইন। যাঁকে ধর্ষণের অভযোগে গ্রেপ্তার করা হলেও ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেটে ১৫৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। ২৮ বলে ৫০ রান করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ৩৬ বলে ৪২ রান করেন রস টেলর। ২৮ রানে তিন উইকেট নেন ক্রুনাল পাণ্ড্য। ২৭ রানে দু’উইকেট পান খলিল। জবাবে সাত বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ২৯ বলে ৫০ রান করেন অধিনাক রোহিত। ২৮ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋষভ পন্থ।