আমার সেরা পারফরমেন্স বের করে আনত মাস্টার ব্লাস্টারই, বলছেন ব্রেট লি
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক১৯৯০-এর নেপিয়ার টেস্ট। মাত্র ১২ রানের জন্য শতরান ফস্কেছিলেন শচীন তেন্ডুলকর। যে সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৬। সেক্ষেত্রে মুস্তাক মহম্মদের নজির ভেঙে টেস্টে সর্বকনিষ্ঠ শতরানকারী হতে পারতেন ‘বিস্ময় বালক’। তিন দশক আগের সেই ইনিংসে শচীন যাঁর শিকার হয়েছিলেন সেই ড্যানি মরিসন বলছেন, “প্রস্তুতি ম্যাচে সভাপতি একাদশের অধিনায়ক ছিল কেন রাদারফোর্ড। ও আমাদের টিম মিটিং-এ বলেছিল, ‘এই ছেলেটি এক বিস্ময় প্রতিভা। বয়সও খুব কম। অনেক দূর যাবে।‘ শুনে আমাদের খুব হাসি পেয়েছিল। দেখে মনে হয়ছিল, ও তখনও স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি। কিন্তু মাঠে নামার পর ব্যাপারটা বুঝেছিলাম। রিচার্ড হ্যাডলির সুইং দারুণভাবে সামাল দিচ্ছিল। যদিও হ্যাডলি তখন কেরিয়ারের শেষ দিকে। কিন্তু তখনও অসাধারণ বল করত। আমার এক ওভারে তিনটি বাউন্ডারি মেরেছিল শচীন। কিন্তু তারূণ্যের জোশেই শতরান পায়নি। আমার বলে মারতে গিয়ে মিড-অফে জন রাইটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গিয়েছিল।“
উল্লেখ্য, সেই বছরই ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে নিজের প্রথম শতরান করেছিলেন শচীন। যখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ১০৭ দিন। ভাঙতে পারেননি মুস্তাকের (১৭ বছর ৭৮ দিন) রেকর্ড। ১৯৬১-তে মুস্তাক যে নজির গড়েছিলেন তা টিকে ছিল চার দশক। শেষমেশ সেই নজির ভাঙেন বাংলাদেশের মহম্মদ আশরাফুল (১৭ বছর ৬১ দিন)।
মরিসন যখন মাস্টার ব্লাস্টারের কেরিয়ারের শুরুর দিকের কথা বলছেন, তখন শচীনের কেরিয়ারের দ্বিতীয়ার্ধের কথা উঠে এসেছে ব্রেট লি-র কথায়। ১৯৯৯-এর বক্সিং টেস্টে অভিষেক হয়েছিল লি-র। যে ম্যাচে ভারত ব্যর্থ হলেও চোখধাঁধানো শতরান করেছিলেন অধিনায়ক শচীন। পরবর্তীকালে একদিনের ম্যাচে ন’বার এবং টেস্টে পাঁচবার শচীনকে আউট করেছেন লি। তারপরেও প্রাক্তন অজি পেসার বলছেন, “শচীনের বিরুদ্ধে বল করা সবসময়ই এক রোমাঞ্চকর ব্যাপার ছিল। যখনই ওর বিরুদ্ধে নামতাম, মাথায় রাখতাম যেন নিজের সেরা ছন্দে থাকি। শচীনের মতো ব্যাটসম্যানকে বল করতে হলে সেরা ছন্দে থাকতেই হবে। আর ও-ই আমার মধ্যে থেকে আমার সেরাটা বের করে আনতে পারত।“