• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

বিশ্বকাপের টিকিট দিয়েছিল শোয়েব-আফ্রিদিঃ নেহরা

চণ্ডীগড়ে হোটেল বুকিং পাননি নির্বাচক শ্রীকান্ত

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

পরিবারকে কথা দিয়েছিলেন, ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল দেখাবেন। কিন্তু হাতে টিকিট নেই। এমন অবস্থায় আশিস নেহরার ত্রাতা হিসাবে দেখা দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ শিবিরের দুই ক্রিকেটার – শোয়েব আখতার এবং শাহিদ আফ্রিদি। নেহরার হাতে প্রয়োজনীয় টিকিট তুলে দিয়েছিলেন তাঁরাই।

২০১১ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের মাত্র ৭২ ঘণ্টা আগে জানা গিয়েছিল, মোহালিতে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। দু’দেশের সরকারই চেয়েছিল, সংশ্লিষ্ট ম্যাচটিকে কূটনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে। তার জেরেই আরও চড়েছিল হাইভোল্টেজ ম্যাচের পারদ। বিশ্বকাপের শেষ চারে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর নড়াই দেখার জন্য টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। এমনকী, যাঁদের কাছে টিকিট ছিল না, তাঁরাও চণ্ডীগড়ে ভিড় করেছিলেন ম্যাচ দেখার আশায়। সেই ঘটনার স্মৃতি রোমন্থন করে নেহরা বলছেন, “চণ্ডীগড়ে খুব বেশি পাঁচতারা হোটেল ছিল না। দল তাজ হোটেলে ছিল। আর অন্যরা মাউন্ট ভিউতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ডের মতো দেশ থেকে অনেক মানুষ এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের কাছে টিকিট ছিল না। অনেক পর্যটক এসে মাউন্ট ভিউতে উঠেছিলেন। ঘর বন্ধ করে তাঁরা বেরিয়েছিলেন। সন্ধেবেলা ফিরে এসে দেখেন, তাঁদের মালপত্র ঘরের বাইরে বের করা! হোটেলের তরফ থেকে তাঁদের বলা হয়েছিল, আপনারা চেক-আউট করেছেন। বকেয়া টাকা আপনাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে গোটা হোটেলটাই বুক করে নিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। তৎকালীন জাতীয় নির্বাচক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তও তাজ হোটেলে ঘর পাননি।“

এরপরেই জানিয়েছেন ওয়াগার ওপারের বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া সাহায্যের কথা। বলেছেন, “আমি ভাগ্যবান। পাকিস্তান শিবির থেকে টিকিটের বিষয়ে অনেক সাহায্য পেয়েছিলাম। শাহিদ আফ্রিদিকে জানিয়েছিলাম, আমার দু’টি টিকিট দরকার। শোয়েব আখতারও দু’টি টিকিট দিয়েছিল। দু’দলের ৩০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে আমার কাছেই সবচেয়ে বেশি টিকিট ছিল।“

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top