“প্রথমে মাঠে মারতাম। তারপর হোটেলে গিয়ে মারতাম।“
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই বাড়তি অ্যাড্রিনালিন। তুঙ্গে উত্তেজনার পারদ। সঙ্গে বাছাই করা শব্দে স্লেজিং। সেরকমই এক স্লেজিং-এর ক্তহা বছর কয়েক আগে ফাঁস করেছিলেন বীরেন্দ্র সেহবাগ। বলেছিলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে আমি দ্বিশতরানের দোরগোড়ায় ছিলাম। শোয়েব (আখতার) পরপর বাউন্সার দিচ্ছিল। আমায় উত্যক্ত করছিল হুক মারার জন্য। যখন বুঝলাম ও এভাবেই চালিয়ে যাবে তখন ক্রিজের উল্টোদিকে থাকা শচীন তেন্ডুলকরকে দেখিয়ে বলেছিলাম, ‘তোমার বাবা ওখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওকে বল কর। তোমার প্রাপ্য জবাব পেয়ে যাবে’। শোয়েব সেটাই করেছিল আর শচীন ওকে গ্যালারিতে ফেলে দিয়েছিল। তখন ওকে বলেছিলাম, ‘বাবা বাবাই হয় আর ছেলে ছেলেই থাকে’।“ বীরুর বক্তব্যকে সমর্থন করে বা খারিজ করে কোনও ক্রিকেটারই কিছু বলেননি।
শোয়েব অবশ্য গোটা বিষয়টিই অস্বীকার করেছেন। বীরুকে পাল্টা একহাত নিয়ে বলেছেন, “সেহবাগ এরকম কিছু আমাকে বলেইনি। বললে কি ও জীবিত থাকত! ওকে কি আমি ছেড়ে দিতাম! প্রথমে মাঠে মারতাম। তারপর হোটেলে গিয়ে মারতাম।“
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের মাটিতে একবারই শচীন এবং সেহবাগ একসঙ্গে ব্যাট করেছিলেন। ২০০৪ সালের মুলতান টেস্টে। যে ম্যাচে প্রথম ভারতীয় হিসাবে ত্রিশতরান করেছিলেন বীরু। শচীনও সেই ম্যাচে অপরাজিত ১৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু তাঁর ইনিংসে কোনও ছক্কা ছিল না।