‘২৭০ রান করলে হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের হারিয়ে দিত’
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কস্কোরবোর্ডে পুঁজি মাত্র ১৮৩। গোটা ৬০ ওভার ব্যাটই করতে পারেনি দল। ড্রেসিংরুমে মুহ্যমান সতীর্থরা। কাপ আর ঠোঁটের মাঝখানে বোধহয় দূরত্ব থেকেই গেল। এমন সময় উঠে দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক কপিল দেব নিখাঞ্জ। বলেছিলেন, “যা হয়েছে ভুলে যাও। চল, মাঠে নেমে ওদের অল আউট করে দিই।“ ড্রেসিংরুমে দলকে বাড়তি মনোবল যুগিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকারও। নিট ফল, তারকাখচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪০ রানেই মুড়িয়ে দিয়েছিল কপিল বাহিনী। হিসাব উল্টে দিয়ে ১৯৮৩-এর প্রুডেনশিয়াল বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত।
৩৭ বছর আগের সেই ঘটনার নেপথ্য কাহিনীই শুনিয়েছেন কপিলের সেই দলের অন্যতম সদস্য রজার বিনি। আট ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে সেবার যিনি সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। যে প্রসঙ্গে বিনি বলছেন, “আমি ১৮ উইকেট পাব বা দল বিশ্বকাপ জিতবে, এরকম কিছুই শুরুতে ভাবিনি আমরা। আমার কাছে লড়াইটা ছিল দলে ফেরার। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের থেকে ভালো জায়গা কিছু হতে পারত না। শুরুটা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে গ্রুপ ম্যাচে। সেই প্রথম বিশ্বকাপে কোনও ম্যাচ হেরেছিল ওরা। সেই ম্যাচ জতার পরেই মনোবল বেড়ে গিয়েছিল আমাদের।“
বিনি বাড়তি নম্বর দিচ্ছেন সেই বিশ্বকাপে ভারতের ফিল্ডিংকে। বলছেন, “আমাদের দলে খুব ভালো ফিল্ডার ছিল না। কিন্তু সেবার কি দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছিল আমাদের ফিল্ডাররা! সুনীল সেই বিশ্বকাপে বেশি রান করতে পারেনি। কিন্তু ফিল্ডিং-এ ও ছিল দলের সম্পদ। ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যম বলেছিল, ভারত এমন কিছু দল নয়। কিন্তু আমরা ওদের হারিয়েছিলাম। সেই ম্যাচের পরেই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল।“
ফাইনাল সম্পর্কে প্রাক্তন ভারতীয় বোলার বলছেন, “ওই উইকেটে ২৪০ জেতার মট রান ছিল। আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ২২০ করতে। কিন্তু ১৮৩-তেই অল আউট হয়ে গিয়েছিলাম। পুরো ৬০ ওভার ব্যাট করতে পারিনি। তাই ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ড্রেসিংরুমে সবাই মনমরা হয়ে বসেছিল। কেউ কথা বলছিল না। তখনই কপিল উঠে দাঁড়িয়ে পেপ-টক দিয়েছিল। দলকে চাঙ্গা করেছিল। কম রান করাটাই আমাদের মধ্যে জেতার ক্ষিদে চাগিয়ে দিয়েছিল। যদি ২৭০ করতাম তাহলে হয়তো ওরা আমাদের হারিয়ে দিত।“