শতরান মাসুদের, বিপাকে ইংল্যান্ড

শেষ বেলায় দাপট পাক পেসারদের

ইংল্যান্ডের আবহাওয়া এবং পরিবেশ তাঁর অনেকদিনের চেনা। লিঙ্কনশায়ারের স্ট্যামফোর্ড স্কুলে প্রাথমিক পড়াশোনা। এরপর ডারহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। তারপরে উচ্চশিক্ষা লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট এবং ক্রীড়াবিজ্ঞান নিয়ে। এরই পাশাপাশি ছিল ক্রিকেট। যেখানে তাঁর প্রথম গুরু প্রাক্তন ব্রিটিশ উইকেটরক্ষক গ্রেম ফাওলার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছেন বেন স্টোকস, মার্ক উড, লিয়াম প্লাঙ্কেট, গ্যারি ব্যালান্সদের বিরুদ্ধে।

এই সমস্ত অভিজ্ঞতা ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ২২ গজে উজাড় করে দিলেন শান মাসুদ। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে যখন বাবর আজম আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করছিলেন তখন মাসুদ ক্রিজের অন্য প্রান্ত আগলাচ্ছিলেন। দ্বিতীয় দিনের সকালে বাবর ফিরে যেতেই খেলার রাশ নিজের হাতে নিয়ে নেন মাসুদ। প্রায় আট ঘণ্টা ক্রিজে থেকে খেলে যান ১৪৬ রানের স্থিতধী ইনিংস। তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের সর্বোচ্চ রান। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যেই ৩২৬ রানের সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছয় পাকিস্তান। এদিন শদাব খান (৪৫) বাদে কেউই মাসুদকে সেভাবে সাহায্য করতে পারেননি। ইংল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে সফল স্টুয়ার্ট ব্রড (৩/৫৪) এবং জোফ্রা আর্চার (৩/৫৯)। এরপর পাক পেসারদের দাপটে শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড। শাহিন শাহ আফ্রিদির দুরন্ত গতি এবং মহম্মদ আব্বাসের নিয়ন্ত্রিত সুইং-এর মোকাবিলা করতে গিয়ে দলীয় ১২ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিন ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান। চতুর্থ উইকেটে ৫০ রান যোগ করে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেল অলি পোপ এবং জো রুট। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান চার উইকেটে ৯২। ক্রিজে রয়েছেন পোপ (৪৬ ব্যাটিং) এবং জস বাটলার (১৫ ব্যাটিং)।