• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

শচীন-ওয়াকারের সঙ্গে অভিষেক, বিস্মৃতির অতলে সইদ

কপিলের বল খেলতে পা কাঁপছিল; নির্ভুল ছিল ওয়াসিমের ভবিষ্যদ্বাণী

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক

কার কার অভিষেক হয়েছিল ১৯৮৯-এর করাচি টেস্টে? ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠবেন, “শচীন!” পাক ক্রিকেট-উৎসাহীরা বলবেন “ওয়াকার!” ঘটনা হল, করাচির সেই টেস্টে ওয়াগার এপার-ওপার মিলিয়ে চারজন ক্রিকেটারের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। এর মধ্যে শচীন তেন্ডুলকর এবং ওয়াকার ইউনিস ক্রিকেটবিশ্বে নিজেদের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন। তৃতীয় জন সলিল আঙ্কোলা প্রথমে ক্রিকেট, পরে বলিউড মিলিয়ে মোটের উপর গুছিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছেন চতুর্থ জন। শাহিদ সইদ। বিশ্বক্রিকেট তো দূর অস্ত, পাক ক্রিকেটপ্রেমীরাও ভুলে গিয়েছেন তাঁকে।

নিন্দুকরা বলতেই পারেন, মনে রাখার মতো কোনও ইনিংস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতেই পারেননি সইদ। করাচি টেস্টই তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের একমাত্র ম্যাচ। যেখানে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি সইদ। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন ১০ টি একদিনের ম্যাচও। কিন্তু সেখানেও একটি অর্ধশতরানের বেশি কিছু করতে পারেননি।

তবে যে সময় সইদ পাকিস্তান দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সেই সময় পাক ক্রিকেটের স্বর্ণযুগ। প্রথম দলে সুযোগ পাওয়াই ছিল দুষ্কর। তা সত্বেও পাকিস্তানের হয়ে ভারতে নেহরু কাপ খেলতে এসেছিলেন সইদ। গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সফরেও। যে মাঠে ইমরানের দল বিশ্বসেরা হয়েছিল সেই এমসিজি-তেই পাকিস্তানের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন সইদ। টোনি ডোডেমাইডের বলে বোল্ড হওয়ার মূহুর্তেই বুঝে গিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ। এখনও সেই আউট নিয়ে হতাশা গ্রাস করে তাঁকে। বলছেন, “অন্য কোনও সময় সহজেই পুল করতে পারতাম। সেদিন কেন পারিনি জানি না। এখনও টিভিতে খেলা দেখতে বসলে ওই আউটের কথা মনে হয় আর ভিতরে এক অদ্ভুত যন্ত্রণা হয়।“

সইদের মনে আছে ১৬ বছরের শচীনকে নিয়ে পাক ড্রেসিংরুমের আলোচনাও। যেখানে ওয়াসিম আক্রম বলেছিলেন, “এই বাচ্চা ছেলেটি যদি আমাদের এই বোলিং আক্রমণ সামলে দিতে পারে তাহলে অনেক দূর যাবে।“ কিন্তু তখন নিজেই মারাত্মক মানসিক চাপে চিলেন সইদ। বলছেন, “যখন ব্যাট করতে নামছিলাম, তখন পায়ের নিচে যেন মাটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সারা শরীর কাঁপছিল। তার উপর প্রথম বলটাই ছিল কপিল দেবের। কীভাবে সেটা মিডউইকেটে খেলেছিলাম জানি না। প্রচণ্ড টেনশনে ছিলাম।“

তাঁর সমসাময়িকরা ক্রিকেটে নিজেদের ভবিষৎ গুছিয়ে নিয়েছেন। এমনকী, যাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগই পাননি, তাঁরাও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বিশেষজ্ঞ হয়ে গিয়েছেন। আর সইদ? জীবিকাসূত্রে লন্ডনে। মাঝেমধ্যে সপ্তাহান্তে মাঝবয়সিদের ক্রিকেটে যোগ দেন বটে। কিন্তু ‘প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার’ তকমাটাও তাঁর কাছে এখন অনেক দূরের গ্রহ।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top