• +91 6291642485
  • 6291642485
Banner

খেলার বিভাগ > ক্রিকেট

বিধ্বংসী রাসেল, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ী নাইটরা

ফের নিভল ইডেনের আলো; ১৩ মিনিট বন্ধ খেলা

স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড ডেস্ক

জেতার জন্য প্রয়োজন ৫৩ রান। হাতে মাত্র ১৮ বল। আপাতদৃষ্টিতে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই বাস্তবের মাটিতে নামিয়ে আনলেন আন্দ্রে রাসেল। ১৯ বলে ৪৯ রান করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ছিনিয়ে আনলেন অবিশ্বাস্য জয়। দু’বল বাকি থাকতেই হাসি ফোটালেন ইডেনে উপস্থিত শাহরুখ খান, জুহি চাওলার মুখে।

এদিনের ম্যাচ ডেভিড ওয়ার্নারের কাছে ছিল হিসাব বদলে দেওয়ার লড়াই। রবিবারের ম্যাচের আগে অবধি ইডেনে যাঁর ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১২। কিন্তু এদিন শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন পকেট ডায়নামাইট। বিশ্বকাপে যেতে যে তিনি বদ্ধপরিকর তা বুঝিয়ে দিলেন এদিনের ইনিংসে। তাঁর ৫৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংস সাজানো ৩টি ছক্কা এবং ন’টি চার দিয়ে। ওপেনিং জুটিতে ওয়ার্নার এবং জনি বেয়ারস্টো (৩৫ বলে ৩৯ রান) মাত্র ৭৭ বলে যোগ করেন ১১৮ রান। সেই সময় মনে হচ্ছিল ২০০ রানের গণ্ডি নিশ্চিতভাবেই পার হয়ে যাবে সানরাইজার্স। কিন্তু অল্প ব্যবধানে ওয়ার্নার এবং ইউসুফ পাঠানকে (১) ফিরিয়ে নাইটদের কিছুটা ভালো জায়গায় এনে দেন রাসেল (২/৩২)। শেষদিকে চালিয়ে খেলে সানরাইজার্সকে ১৮১ রানে পৌঁছে দেন বিজয় শঙ্কর (২৪ বলে ৪০ রান)।

ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন সুনীল নারিন। তাই তাঁকে এদিন ওপেন করতে পাঠানোর ঝুঁকি নেয়নি নাইট শিবির। কিন্তু ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন অটুট রাখতে ক্রিস লিনের সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হয় নীতিশ রানাকে। আর সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ নীতিশ। ইডেনকে হতাশ করে লীন (১১ বলে ৭ রান) ফিরে গেলেও উইকেটের অন্যদিকে চালিয়ে খেলতে থাকেন নীতিশ। দ্বিতীয় উইকেটে রবিন উথাপ্পাকে (২৭ বলে ৩৫ রান) নিয়ে ৫৮ বলে যোগ করেন ৮০ রান। তার জেরেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়নি নাইটরা। কিন্তু পরপর দু’ওভারে উথাপ্পা এবং দীনেশ কার্তিক (২) ফিরে যেতেই চাপে পড়ে যায় কেকেআর। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছিল রানরেট। এই পরিস্থিতে হঠাৎ ইডেনের একটি বাতিস্তম্ভের বেশকিছু আলো নিভে যায়। নাইটদের রান তখন ১৫.২ ওভারে তিন উইকেটে ১১৮। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে তখন আট রানে পিছিয়ে কার্তিকরা। জিততে প্রয়োন ২৮ বলে ৬৩ রান। ১৩ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর মাঠে ফিরে আসেন দু’দলের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু তারপর প্রথম বলেই ফিরে যান নীতিশ (৪৭ বলে ৬৮ রান)। রাসেলের উপর বেশি ভরসা করতে পারছিলেন না নাইট সমর্থকেরা। নেপথ্যে ছিল সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে তাঁর রেকর্ড। রবিবারের ম্যাচের আগে পর্যন্ত সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ৬.৩৩! কিন্তু যাবতীয় পরিসংখ্যানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একার হাতে বার করে নেন ম্যাচ। তাঁর ১৯ বলে ৪৯ রানের ইনিংসে রয়েছে চারটি ছয় এবং চারটি চার। রাসেল এবং শুবমান গিলের (১০ বলে ১৮ অপরাজিত) জুটিতে মাত্র ২৫ বলে যোগ হয় ৬৫ রান। রাসেলকে আটকাতে সানরাইজার্সের এদিনের অধিনায়ক ভুবনেশ্বর কুমারকে বারবার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়ার্নার। কিন্তু কইছই শেষ পর্যন্ত নাইটদের জয় আটকাতে পারেনি।

     

বিজ্ঞাপন

Goto Top