সোনাজয়ীর রাইফেল এবার ধোনির কাছেও
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কআন্তর্জাতিক আঙিনায় কি আবারও ভারতের হয়ে নামবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি? জল্পনা সেরকমই। তবে ক্রিকেটে নয়। শুটিং রেঞ্জে এবার দেখা যেতে পারে এমএসডি-কে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি ওয়াল্টার কার্বনটেক রাইফেলের একটি মডেল এসেছে মাহির জিম্মায়। যে মডেল ব্যবহার করে বেজিং অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন অভিনব বিন্দ্রা। রাইফেল কেনার জন্য বেশ কিছুদিন আগে প্রাক্তন ভারতীয় শুটার শিমন শরিফকে ই-মেল করেছিলেন ধোনি। ভারতীয় শুটারদের জন্য বন্দুক এবং অন্যান্য সামগ্রীর বন্দোবস্ত করেন শরিফই। যে প্রসঙ্গে শরিফ বলছেন, “রাত দুটো নাগাদ ই-মেল পেয়েছিলাম। যিনি মেল করেছিলেন তিনি বিদেশ থেকে একটি রাইফেল আনিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাঁর নাম এবং ঠিকানা জানতে চেয়ে পাল্টা মেল পাঠিয়েছিলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেই মেলের জবাব এসেছিল, যাতে ধোনির পুরো নাম এবং রাঁচির বাড়ির ঠিকানা দেওয়া ছিল।“
ধোনির সঙ্গে শুটিং নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় মানবাদিত্য সিং রাঠোরেরও। যিনি এথেন্স অলিম্পিকের রুপোজয়ী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের পুত্র। শুটার ধোনির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মানবাদিত্যও। বলছেন, “শুটিং-এ ধোনির ভীষণ আগ্রহ। লক্ষ্য ফস্কায় না। ওয়াল্টার রাইফেল আনানোর পর আমার সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখে। মেল বা মেসেজ করে। ধোনিকে বলেছিলাম শুটিংকেও কেরিয়ার হিসাবে ভাবার জন্য। কিন্তু ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকার কারণে তা পারেনি ও। পরে ধোনির সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে। ওর ব্যক্তিগত ফোন নম্বরও দিয়েছিল। মানুষের সঙ্গে খুব ভালো মিশে যেতে পারে।“
শুটিং-এর প্রতি ধোনির ভালোবাসা অবশ্য নতুন নয়। ২০১৭ সালে টিম ইন্ডিয়ার অনুশীলন চলছিল কলকাতায়। সেই সময় কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং স্কুলে চলে গিয়েছিলেন ধোনি। শুটিং করেছিলেন পিস্তল নিয়ে। কলকাতা পুলিশের যে কর্তা এবং কর্মীরা সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন তাঁরা বলছেন, নিশানায় অভ্রান্ত মাহি।
ধোনির রাইফেল পাওয়া যাঁর দৌলতে সেই শরিফ বলছেন, “বন্দুক এবং শুটিং সম্পর্কে খুবই আগ্রহী ধোনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর শুটিং-কে কেরিয়ার হিসাবে ভাবতেই পারে ও। অনেক শুটিং রেঞ্জে যায়। অনেক পেশাদার অ্যাথলিটই অবসরের পর শুটিং-এ এসেছে। কারণ, শুটিং আর গলফ অনেক বয়স পর্যন্ত খেলা যায়।“ প্রসঙ্গত, ২০১৯ বিশ্বকাপের পর সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনেকটাই সময় কাটিয়েছেন ধোনি। সামরিক বাহিনীর শুটিং রেঞ্জেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরই শুটিং-এর প্রতিটি বিভাগে একাধিক বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। যা অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ফলে, মাহির সামনে আরও একবার দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার সুযোগ থাকছে। সেই সুযোগ এমএসডি কাজে লাগান কি না সেটাই এখন দেখার।