কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ২৮ রানে হারাল নাইট রাইডার্স
ফের অর্ধশতরান নীতিশ রানার
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড ডেস্কক্রিকেটের নিয়মকে কাজে লাগিয়ে রাজস্থান ম্যাচে আউট করেছিলেন জস বাটলারকে। এবার সেই ক্রিকেটের নিয়মই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিল অশ্বিনদের। কলকাতা নাইট রাইডার্স ইনিংসের ১৭ তম ওভারের শেষ বল। রাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে আসা মহম্মদ শামির দুরন্ত ইয়র্কার ছিটকে দিয়েছিল আন্দ্রে রাসেলের স্টাম্প। রাসেল ফিরে যাচ্ছিলেন ডাগআউটের দিকে। এমন সময় হঠাৎই নো ডাকেন আম্পায়ার। কারণ ৩০ গজ বৃত্তের মধ্যে তখন মাত্র তিনজন ফিল্ডার রেখেছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব অধিনায়ক অশ্বিন। সেখান থেকেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন বিধ্বংসী মেজাজে থাকা রাসেল। পরের ১২ বলে করেন ৪৫ রান। ইনিংসের ১৮ তম ওভার বল করতে এসে অ্যান্ড্রু টাই দেন ২২ রান। আর ১৯ তম ওভারে শামি দেন ২৫ রান। যার মধ্যে টানা আটটি বল বাউন্ডারির বাইরে (পাঁচটি ছয় ও তিনটি চার) পাঠান জামাইকান অলরাউন্ডার। নাইটদের পৌঁছে দেন ২১৮ রানের বিশাল স্কোরে। তবে তার নেপথ্যে বড় অবদান থাকল নীতিশ রানারও। চার নম্বরে ব্যাট করতে এসে খেলে গেলেন ৩৪ বলে ৬৩ রানের দুরন্ত ইনিংস। যার মধ্যে রয়েছে সাতটি ছক্কা এবং দু’টি চার। চলতি আইপিএলের পরপর দু’টি ম্যাচে অর্ধশতরান করে নীতিশই আপাতত কমলা টুপির মালিক। আর তিন নম্বরে নেমে ৫০ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করে ইনিংস গড়ার কাজটা করে গেলেন রবিন উথাপ্পা। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ২৫ রান তুলে নাইটদের ইনিংসের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন সুনীল নারিন।
তবে চলতি আইপিএলে বোলার নারিনকে লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না কেকেআর। দু’ম্যাচে পাঁচ ওভারে খরচ করেছেন ৫৫ রান। একটিও উইকেট পাননি। তাঁর বেহিসাবি বোলিংয়ের ফায়দা পুরোমাত্রায় তুললেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৩৪ বলে ৫৮ রান) এবং ডেভিড মিলার (৪০ বলে ৫৯ অপরাজিত)। ইডেনের ব্যতাং-সহায়ক উইকেটে দাগ কাটতে পারেননি অন্য স্পিনাররাও। তাই গেইল (১৩ বলে ২০ রান) বড় রান না পেলেও ১৯০ পর্যন্ত পৌঁছে গেল কিংস ইলেভেন।
‘জারা’-র দলকে ২৮ রানে হারানোর পর তাই চওড়া হাসি ‘বীর’-এর মুখে। আর সেই হাসি নিয়েই ইডেন ঘুরে দর্শকদের অভিবাদন জানিয়ে মাঠ ছাড়লেন কিং খান।