“বিরাটের দলই ভারতের সর্বকালের সেরা”
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কটেস্টে তাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত। কিন্তু একদিনের ম্যাচে সুনীল গাভাসকরের ব্যাটিং-এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মন্থর ব্যাটিংকে জড়িয়ে ফেলেছেন অনেক ক্রিকেটপ্রেমী। নেপথ্যে ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর ১৭৪ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। অনেকেই ভুলে যান, দেশের মাটিতে ১৯৮৭ বিশ্বকাপে সানি একদিনের আন্তর্জাতিকে তাঁর একমাত্র শতরানটি করেছিলেন। ১০৩ রান করতে নিয়েছিলেন মাত্র ৮৫ বল। অবসরের ৩৩ বছর পরেও সানির আক্ষেপ, ইচ্ছা থাকলেও রোহিত শর্মার মতো আক্রমণাত্মক হতে পারেননি।
লিটল মাস্টার বলছেন, “ওপেনারদের এরকমই নির্ভীক হওয়া উচিৎ। টেস্ট হোক বা সীমিত ওভারের ম্যাচ, রোহিত একইরকম আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করে। টেস্টেও প্রথম ওভার থেকে আক্রমণের রাস্তায় যায়। আমিও এভাবেই খেলতে চাইতাম। কিন্তু নানা কারণে সেটা পারিনি। তবে ভালো লাগছে যে এই প্রজন্মের ক্রিকেটাররা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলতে নামছে। ওদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ক্রমাগত লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে চলেছে।“
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ বছরে একদিনের ম্যাচে ৯৭ টি ইনিংস খেলেছেন রোহিত। রান করেছেন ৬২.৩৬ গড়ে। স্ট্রাইক রেটও ৯৫.৪৪। তাঁর এবং শিখর ধাওয়ানের জুটি বিপক্ষ দলের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছে। একদিনের ম্যাচে তিনটি দ্বিশতরান করার নজিরও রয়েছে রোহিতের।
এরই পাশাপাশি, বিরাট কোহলির দলকে ভারতের সর্বকালের সেরা টেস্ট দল আখ্যা দিয়েছেন সানি। তাঁর মত, “এরকম দল ভারত আগে পায়নি। দলের ভারসাম্য দুর্দান্ত। ক্ষমতা, দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়েও কোনও প্রশ্ন নেই। পিচ বা পরিবেশ যেমনই হোক, এরা জেতার জন্য ঝাঁপায়। যে কোনও জায়গায় জেতার ক্ষমতা রাখে এই দল। ১৯৮০ সালের পর থেকে ব্যাটিং-এ বিরাট কিছু বদল হয়নি। কিন্তু বোলিং আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। বিরাটের দলে যা বোলিং আছে তা এর আগে ছিল না। গত অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। সেটা মূলত বোলিং-এর জন্য। বিরাটের অধিনায়কত্বে ফাস্ট বোলাররা স্পিনারদের সমসংখ্যক উইকেট পাচ্ছে। যা এর আগে কোনওদিন হয়নি। যেভাবে রোস্টার করে খেলানো হচ্ছে তাতে বোলিং-এর উন্নতিও ঘটছে। ফলে ব্যাটিংই এখন একটু ভাবনার বিষয়।“
উল্লেখ্য, এখন আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিং-এ তিন নম্বরে রয়েছেন বিরাটরা। যদিও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে টিম ইন্ডিয়া।