ওপেনিং জুটিতে ভাঙল নাইটদের রেকর্ড; চার উইকেট নবির
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড ডেস্কআন্তর্জাতিক আঙিনায় তাঁরা প্রবল প্রতিপক্ষ। কিন্তু আইপিএলের ময়দানে ক্রমেই একে অন্যের পরিপূরক হয়ে উঠছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার এবং ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো। নাইটদের বিরুদ্ধে ওপেনিং জুটিতে ১১৮ আর রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১১০ রান তোলার পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেও ১৮৫ রান তুললেন তাঁরা। ভেঙে গেল ২০১৭ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ওপেনিং জুটিতে গৌতম গম্ভীর ও ক্রিস লিনের অবিচ্ছিন্ন ১৮৪ রানের রেকর্ড। তাও হায়দরাবাদের ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে। সাতটি ছক্কা ও ১২টি চারের সাহায্যে বেয়ারস্টো করলেন ১১৪ রান, তাও মাত্র ৫৬ বলে। উল্টোদিকে ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ‘পকেট ডায়নামাইট’-এর অবদান ৫৫ বলে অপরাজিত ১০০ রান। পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছয় দিয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। তাঁদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদেই দু’উইকেটে ২৩১ রান তুলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে মাত্র ১১৩ রানেই গুটিয়ে গেল বিরাট কোহলিদের যাবতীয় প্রতিরোধ। বেঙ্গালুরুকে দুরমুশ করতে বড় ভূমিকা নিলেন মহম্মদ নবি। চার ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করে তুলে নিলেন চার উইকেট। তাঁর বোলিংয়ের সামনে একসময় বেঙ্গালুরুর রান ছিল ছ’উইকেটে ৩৫। শেষমেশ কলিন ডে গ্র্যান্ডহোম (৩২ বলে ৩৭ রান), প্রয়াস রায়বর্মন (২৪ বলে ১৯ রান) এবং উমেশ যাদবের (৯ বলে ১৪ রান) সৌজন্যে ১০০ রানের গণ্ডি পেরোয় কোহলির দল। ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট সন্দীপ শর্মার। এই নিয়ে আইপিএলে ছ’বার কোহলি যার শিকার হলেন।
হারের হ্যাটট্রিকের পর হতাশ কোহলি বলছেন, “আমাদের নিকৃষ্টতম হারগুলোর একটা। প্রথম বল থেকেই আমাদের কোনও কিছু ঠিকঠাক হয়নি। সব বিভাগেই আমাদের টেক্কা দিয়েছে সানরাইজার্স। যেভাবে বেয়ারস্টো আর ওয়ার্নার ব্যাট করে গেল তাতে ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।“
বাংলার প্রয়াস রায়বর্মনের জন্যও অভিশপ্ত হয়ে থাকল আইপিএল অভিষেক। প্রথম ওভারে মাত্র ছ’রান খরচ করলেও পরের তিন ওভারে ৫০ রান দিয়ে বসেন বাংলার লেগস্পিনার। তবে ১৬ বছর ১৫৭ দিন বয়সে আইপিএল অভিষেক ঘটিয়ে এদিন নতুন নজির গড়লেন প্রয়াস।