দুরন্ত রাসেল, জয় কলকাতা নাইট রাইর্ডাসের
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড ওয়েব ডেস্কতিনি ব্রেকফাস্ট করেন না। বদলে ব্যস্ত থাকেন এক্সাসাইজে।
উদ্যান নগরী বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে উঠে সতীর্থ আন্দ্রে রাসেল সর্ম্পকে এমন কথাই বলছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপেনার ক্রিস লিন। আর তিনি আন্দ্রে রাসেল ১৩ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস খেলে কেকেআরকে জিতিয়ে বলে গেলেন, ‘‘কোনও মাঠই এই বিশ্বে আমার কাছে বড় নয়। সব সময় নিজের শক্তির উপর আস্থা রেখে ব্যাট করি।’’
শুরুতে ব্যাট করে তিন উইকেটে ২০৫ রান করেছিল আরসিবি। এর আগে টানা চার ম্যাচ হারার পরে এ দিন ব্যাটে ফর্মে ফিরেছিলেন আরসিবি-র দুই প্রথম সারির ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও এ বি ডি ভিলিয়ার্স। বিরাটের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ২৫ রানে ফিরে যান পার্থিব প্যাটেল। কিন্তু এর পরেই স্বমূর্তি দারণ করেন বিরাট। ৪৯ বলে তিনি করেন ৮৪ রান। যে ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ন’টি চার ও দু’টি ছয়। বিরাটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাট করেন ডি’ভিলিয়ার্সও। ৩২ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি চার ও ছ’টি ছয়। শেষের দিকে নেমে মার্কাস স্টোয়নিসও খেলে দিয়ে যান ১৩ বলে ২৮ রানের কার্যকরী ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার সুনীল নারাইনের (১০) উইকেট হারায় কেকেআর। কিন্তু ক্রিস লিন ও রবিন উথাপ্পার জুটি স্কোরবোর্ডে জোড়ে ৬৫ রান। লিন করেন ৪৩ রান। উথাপ্পার সংগ্রহ ৩৩। জিততে গেলে শেষ সাত ওভারে কলকাতার দরকার ছিল ৯২। কিন্তু ১৭ ওভারে কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক যখন আউট হন, তখন শাহরুখ খানের দলের রান ১৫৩-৫। জিততে গেলে কলকাতাকে ১৮ বলে করতে হত ৫৩। আরসিবি সমর্থকরা জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন। সেই জায়গা থেকে খেলা ধরেন আন্দ্রে রাসেল। ১৩ বলে অপরাজিত ৪৮ করে তিনিই নাইট শিবিরে জয় নিশ্চিত করেন। তাঁর ৪৮ রানের পরিসংখ্যান এ রকম— ০, ১, ০, ০, ৬, ৬, ৬, ১, ৬, ৬, ৬, ৪, ৬। যার ফলে পাঁচ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
রাসেলের ব্যাটে অতিমানবিক এই ইনিংস দেখার পরে দলমালিক শাহরুখ খানের মন্তব্য, ‘‘ডাগআউটে বসে যারা ভেবেছিল ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছে কেকেআরের হাত থেকে, তারা হয়তো ক্রিকেট বোঝে। কিন্তু রাসেলকে চেনে না। আমার মাসলম্যান রাসেল।।’’ আর ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলটা আমিই ঠিক করে দিচ্ছি। আন্দ্রে রাসেল ও আরও দশজন।
এ দিন মইন আলিকে দলে নিয়েও কেনও তাঁকে বল করালেন না আরসিবি অধিনায়ক বিরাট, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের শক্ত পিচে বল ব্যাটে আসছিল। ফলে ব্যাটসম্যানদের সুবিধা হচ্চিল। সেখানে কেন দু’ওভারে ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট নেওয়া পবন নেগিকে দিয়ে কেন আরও দুই ওভার বিরাট তখনই করিয়ে নিলেন না সেটাও বড় প্রশ্ন। কেনই বা নাথান কুল্টারনাইল বা ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো বোলারকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
আরসিবি অধিনায়ক বিরাট যদিও ম্যাচ হেরে দুষছেন তাঁর বোলারদেরই। পাঁচ ম্যাচ হেরে আইপিএলে আপাতত ধুঁকছে কিং কোহলির দল।